করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মোংলায় ৮ দিনের কঠোর লকডাউন জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
রোববার (৩০ মে) সকাল থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের ফলে ঔষধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া মোংলা পৌর শহরের সকল দোকান পাট বন্ধ ছিলো। শহরের চারটি প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে পুলিশি চেকপোস্ট। বিনা প্রয়োজনে কাউকে শহরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। পুলিশের কয়েকটি ভ্রাম্যমাণ দল গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে দায়িত্ব পালন করছে।
মোংলা থানার সেকেন্ড অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক আরোপিত লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
লকডাউন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে মোবাইল কোটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার জানান, চলমান বিধিনিষেধে করোনায় আক্রান্তের হার না কমলে সামনে আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোংলায় মো. নুর উদ্দিন (৪২) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল ৯টায় খুলনার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
মৃত নুর উদ্দিন পৌর শহরের মুসলিমপাড়া এলাকার মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে। তার স্ত্রী মোংলা সরকারি কলেজের প্রভাষক মমতাজ বেগমও করোনা আক্রান্ত হয়ে খুলনার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর আগে গত সপ্তাহে পৌর শহরের ভাসানী সড়কের বাসিন্দা কাজী সাত্তার (৯০) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাব মতে, গেল ১৮ মে থেকে ২৯ মে পর্যন্ত ১২ দিনে পাঁচ দফায় ১২৮ জনের করোনা পরীক্ষায় ৮১ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ হয়। পরিসংখ্যান মোতাবেক আক্রান্তের হার ৬২ শতাংশ।