• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২১, ০৯:৪১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ৩১, ২০২১, ০৯:৪১ পিএম

মহামারিতেও জাহাজ আগমনের নতুন রেকর্ড মোংলায়

মহামারিতেও জাহাজ আগমনের নতুন রেকর্ড মোংলায়

করোনাভাইরাস যখন বিশ্ব অর্থনীতিতে লাগাম টেনে ধরছে, ঠিক তার উল্টো চিত্র বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের। এই বন্দরের প্রাণ চাঞ্চল্যে একটুও ভাটা পড়েনি। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে গড়েছে নতুন রেকর্ড। করোনার ধাক্কায় অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও স্বায়ত্তশাসিত এ প্রতিষ্ঠানটি এক মুহূর্তের জন্যও বন্ধ হয়নি। 

বন্দর সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এই বন্দরে জাহাজ এসেছিল ৯১২টি। করোনার শুরুর বছর ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৯০৩টি জাহাজ আসে। আর ২০২০-২১ অর্থ বছরের ৩১ মে পর্যন্ত জাহাজ আসে ৯১৩টি। 

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. মুসা জানান, ১৯৫০ সালে মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠার পর ২০২০-২১ অর্থ বছরের জাহাজ আগমনের নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। করোনার ধাক্কা সামলিয়ে এ বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রেখে দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রেখেছেন তারা। বন্দর চেয়ারম্যান আরো জানান, করোনা মহামারি না থাকলে জাহাজ আগমনের সংখ্যা আরো বাড়তো।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপসচিব মাকরুজ্জামান মুন্সি বলেন, “২০১৮-১৯ অর্থ বছরের ৯১২টি জাহাজ থেকে মোংলা বন্দরের আয় হয়েছে ৩২৯ কোটি ১২ লক্ষ এবং ২০১৯-২০ অর্থ বছরের ৯০৩টি জাহাজ থেকে আয় হয়েছে ৩৩৮ কোটি ১৯ লক্ষ টাকা। আর ২০২০-২১ অর্থ বছরের ৩১ মে পর্যন্ত ৯১৩ টি জাহাজ আসলেও এর অর্থের হিসাব হবে আগামী ৩০ জুনে।” তবে চলতি অর্থ বছরে জাহাজ আগমনের সংখ্যা গেল দুই বছরের চেয়ে বেশি হওয়ায় আয়ও বেশি হবে বলে জানান তিনি। 

উপসচিব মাকরুজ্জামান আরও বলেন, “বন্দর কর্তৃপক্ষের নেওয়া নানা কর্মকাণ্ডের ফলে করোনার কোনো প্রভাই পড়েনি মোংলা বন্দরে। সারাদেশের ব্যবসা বাণিজ্য আংশিক স্থবির থাকলেও মোংলা বন্দরে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক ছিল। ২৪ ঘণ্টাই চলমান ছিল এ বন্দরের কার্যক্রম।”

মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. মুসা বলেন, “করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে সতর্কতা হিসেবে মোংলা বন্দর নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দর্শনার্থী প্রবেশ সীমিতকরণ, অফিসে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা পরীক্ষা, বন্দরের অফিসসমূহে এবং বন্দর এলাকায় করোনার সতর্কীকরণমূলক চলাফেরা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।”