• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২, ২০২১, ১১:১৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২, ২০২১, ১২:১৬ পিএম

মোস্ট ওয়ান্টেড ‘টাইগার হাবিব’ গ্রেপ্তার

মোস্ট ওয়ান্টেড ‘টাইগার হাবিব’ গ্রেপ্তার
  • রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার লক্ষ্যে মৌয়াল থেকে বাঘশিকারি
  • ২০ বছরে ৭০টি বাঘ হত্যা
  • বাঘের চামড়া, নখ, হাড় চীনে পাচার

বাঘ হত্যা এবং চোরা শিকারের জন্য তাকে ২০ বছর ধরে খুঁজছিল বাংলাদেশ পুলিশ। অবশেষে ধরা পড়ল কুখ্যাত সেই চোরা-শিকারি ‘টাইগার হাবিব’। বন বিভাগের তালিকাভুক্ত বাঘশিকারি হাবিব তালুকদারকে (৫০) গ্রেপ্তার করেছে বাগেরহাটের শরণখোলা থানা-পুলিশ। উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বনসংলগ্ন মধ্য সোনাতলা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার (১ জুন) বিকেলে শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, বাঘশিকারি হাবিবকে দীর্ঘদিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সোর্সের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন জানান, হাবিব তালুকদার ‘বাঘ হাবিব’ নামে বন বিভাগের তালিকাভুক্ত অপরাধী। তার হাতে ২০ বছরে কমপক্ষে ৭০টি বাঘ মারা পড়েছে বলে এর আগে বন বিভাগের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন তিনি। তার নামে ৯টি বন অপরাধের মামলা রয়েছে, এর মধ্যে তিনটিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে।

বাঘশিকারি হাবিব বন বিভাগ ও পুলিশের কাছে মোস্ট ওয়ান্টেড। অনেক আগে থেকেই সুন্দরবনে তার প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপরও গোপনে বনে ঢুকে বন্য প্রাণী শিকার করতেন।

স্থানীয় বনজীবীরা জানান, বন বিভাগের উদাসীনতা ও দায়িত্বহীনতার কারণে হাবিব একজন সামান্য মৌয়াল থেকে বাঘ হন্তারক ‘টাইগার হাবিবে’ পরিণত হয়। রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার আশায় হাবিব এ পেশা বেছে নেন। হাবিবের বিচরণ ছিল মূলত ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বিস্তৃত সুন্দরবন এলাকায়। জঙ্গলের কাছাকাছিই থাকতেন হাবিব। পুলিশের উপস্থিতি টের পেলেই গা ঢাকা দিতেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ২০ বছরে হাবিব ৭০টি বাঘ হত্যা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু বাঘ হত্যাই নয়, সেগুলোর চামড়া, নখ, হাড়, এমনকি মাংস চীনের বাজারে চড়া দামে পাচার করতেন।