• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২১, ১২:৩৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১১, ২০২১, ১২:৪১ পিএম

করোনা ঝুঁকিতে লালমনিরহাটের ১৫ লাখ মানুষ

করোনা ঝুঁকিতে লালমনিরহাটের ১৫ লাখ মানুষ

লালমনিরহাট জেলার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৫৪ কিলোমিটার অংশে কাঁটাতারের বেড়া নেই। ফলে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলছে দুই দেশের মানুষের অবাধ যাতায়াত।

অরক্ষিত সীমান্তের কারণে করোনা ঝুঁকিতে আছে জেলার ১৫ লক্ষাধিক মানুষ। বেড়েছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যাও। 

কাঁটাতারহীন সীমান্ত পথে সীমান্তরক্ষীদের নজরদারী ফাঁকি দিয়ে চলছে চোরাকারবারি ও সাধারণ মানুষের অবাধ যাতায়াত। দুই দেশের দালাল চক্রের মাধ্যমে চলছে মানুষ পারাপার।

এদিকে আগামী কোরবানির ঈদ সামনে রেখে সীমান্তের অন্তত ৩০টির বেশি পয়েন্ট দিয়ে প্রায় প্রতি রাতে গরু পারাপার করছে শতাধিক চোরাকারবারি সিন্ডিকেট। এসব গরু আবার প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে স্থানীয় হাটবাজারে। 

দিনে কৃষিকাজের নাম করে ভারতীয়রা যেমন বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন তেমন বাংলাদেশিরাও ভারতের ঢুকছেন। এসব লোকের অনেকের রয়েছে দুই দেশের জাতীয় পরিচয়পত্র। মাদক কারবারিরা দুই দেশের জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয়ে অরক্ষিত সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতে গিয়ে অবস্থান করছেন। এ কারণে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকিতে রয়েছে জেলার ১৫ লক্ষাধিক মানুষ।

সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাটে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই স্কুলশিক্ষকসহ এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হয়েছেন ১৭ জন। এ পর্যন্ত মোট ৬ হাজার ৪০২ জনের নমুনা পরীক্ষার মধ্যে ১ হাজার ১৬৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, কয়েক দিন ধরে লালমনিরহাটে করোনা শনাক্তের হার ৩৭-৩৮ শতাংশ, যা দুই মাস আগেও ছিল ১০-১১ শতাংশ। গত ২৬ এপ্রিল থেকে ভারত বাংলাদেশের সীমান্তে যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। আর গত ২৪ মে থেকে বিভিন্ন সীমান্তবর্তী জেলায় চলছে লকডাউন। সীমান্ত পথে সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করলেও লালমনিরহাটের অরক্ষিত সীমান্ত পথে দুই দেশের মানুষের যাতায়াত বন্ধ হয়নি। ফলে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ঝুঁকিতে রয়েছেন জেলার মানুষ।