সাভারে দলবেঁধে পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি রিপন (৩০) নামে এক পোশাক শ্রমিকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ( ১৭ জানুয়ারি) বিকালে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের আশুলিয়া মডেল টাউন এলাকা থেকে রিপন মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত রিপন সাভারের আশুলিয়া বেরন এলাকার ইয়াগী বাংলাদেশ গার্মেন্ট লিমিটেডের প্রডাকশন ষ্টাফ সুইং পদে চাকরি করতেন। তিনি নবীনগর কুরগাঁও পুরাতন পাড়া মহল্লায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার বিরুলিয়া ফাঁড়ির ইনচার্জ এনামুল হক জানান, রিপন আশুলিয়ায় এক পোশাক শ্রমিককে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রিপনের ভায়রা আব্দুল্লা জানান, মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) রাত ১০ টার দিকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে পাঁচ ব্যক্তি রিপনকে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। তার স্বজনরা সাভার মডেল থানা ও আশুলিয়া থানায় বিষয়টি জানালে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে নিশ্চিত করে পুলিশ। পরে সাভার মডেল থানায় অজ্ঞাত লাশের খবর পেয়ে পরিবারের স্বজনরা রিপনের লাশ শনাক্ত করে।
উল্লেখ, ৫ জানুয়ারি আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় একটি মাঠে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় এক পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এই মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ইয়াগী বাংলাদেশ গার্মেন্ট লিমিটেড পোশাক কারখানার শ্রমিক রহিম ওই নারী শ্রমিককে ফুঁসলিয়ে রূপায়ন আবাসন প্রকল্পের নির্জন মাঠে নিয়ে আসে। এখানে রহিম এবং তার সঙ্গী একই গার্মেন্টের ষ্টাফ রিপন ও ক্যান্টিন মালিক শিপনসহ ৪ জন ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
এঘটনায় রিপনকে প্রধান আসামি করে ওই ৪ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা করা হয়েছিলো আশুলিয়া থানায় ।
সাইসে