চুয়াডাঙ্গা সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় প্রতিদিনই হু হু করে কোভিড-১৯ সংক্রমণের বৃদ্ধি বেড়েই চলেছে।
শনিবার (১২ জুন) ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যার হার ৬৬.০৭ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২২ জন।
চুয়াডাঙ্গায় নতুন ৩৭ জনের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় দুইজন, আলমডাঙ্গায় তিনজন, দামুড়হুদায় ২০ জন ও জীবননগরে ১২ জন।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এ এস এম মারুফ হাসান জানান, শনিবারের ফলাফলের মধ্যে জেলায় একদিনে এটিই সর্বোচ্চ আক্রান্তের হার। এ ছাড়াও জেলায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক নার্স এবং পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে। অক্সিজেনেরও নেই কোনো সংকট।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, ৬ জুন জেলায় ২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
৭ জুন ৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৮ জনের ফলাফল পজিটিভ আসে, ৮ জুন ৬২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৯ জনের করোনা ফলাফল পজিটিভ হয়।
৯ জুন ৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৭ জনের শরীরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ পাওয়া যায়। ১০ জুন ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২১ জনের করোনা পজিটিভ হয়।
১১ জুন ৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০ জন পজিটিভ এবং ১২ জুন ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৭ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে।
বর্তমানে জেলায় সক্রিয় রোগী ২৬৫ জন। তাদের মধ্যে বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন ২২৪ জন, হাসপাতালে আছেন ৩৮ জন এবং বাকি তিনজনকে রেফার্ড করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলায় মোট আক্রান্তের মধ্যে সদর উপজেলায় ১ হাজার ৮৯ জন, দামুড়হুদায় ৪৯৮ জন, আলমডাঙ্গায় ৩৮৫ জন ও জীবননগরে ২৫০ জন রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, করোনা আক্রান্ত হয়ে যারা হোম আইসোলেশনে আছেন, তাদের বাড়িতে লাল পতাকা টাঙানোসহ লকডাউন করা হচ্ছে।
জেলার চারটি উপজেলার মধ্যে দামুড়হুার সীমান্ত এলাকায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়েছে যাওয়ায় এ উপজেলার ডুগডুগি ও নাটুদহ পশুর হাট বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও ১৬টি গ্রামে লকডাউন চলমান রয়েছে।