• ঢাকা
  • সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২১, ০৬:২৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৩, ২০২১, ০৬:৪১ পিএম

কালিহাতির ইউএনও’র ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

কালিহাতির ইউএনও’র ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

সারা দেশের করোনা পরিস্থিতি আবারও খারাপের দিকে। সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ থাকলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা কমছে প্রবলভাবে। মার্কেট ও বাজারগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং গণপরিবহনে মালিক-শ্রমিকরা কেউই মানছেন না মাস্ক পরার সরকারি আদেশ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি এভাবে চলতে থাকে আর সীমান্তবর্তী জেলাগুলো থেকে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ঢাকায় চলে আসে, তবে সংক্রমণের নিয়ন্ত্রণ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে। যে করেই হোক মানুষের মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে। 

কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব? কীভাবে মানুষের জীবন বাঁচানোর পাশাপাশি তাদের জীবিকাও রক্ষা করা যায়? এমন প্রশ্নগুলোই সঞ্চারিত হয় টাঙ্গাইলের কালিহাতির উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা তানজিন অন্তরার মনেও। বিসিএস ৩১ ব্যচের ওই কর্মকর্তা উপজেলায় সকলের মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে শুক্রবার (১১ জুন) সকালে শুরু করেছেন ব্যতিক্রমধর্মী ‘স্বেচ্ছা-অঙ্গীকার’ সংগ্রহ অভিযান। 

পৌর এলাকার হাসাপাতাল রোডের মার্কেট প্রাঙ্গণে এ উদ্যোগের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী। পরে করোনা প্রতিরোধে স্থানীয় মার্কেট ও বাসস্ট্যান্ডের আশেপাশের দোকান ও পরিবহন চালকদের মধ্যে জনসচেতনতামূলক লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ এবং লিখিত অঙ্গীকার সংগ্রহ করা হয়।

সংসদ সদস্য হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী বলেন, মাস্ক পরতে নিজের সদিচ্ছাই যথেষ্ট। করোনা থেকে মুক্ত হতে হলে সকলকে সচেতন হতে হবে। আমরা কালিহাতীতে সম্মিলিতভাবে সচেতনতার নজির তৈরি করতে চাই মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে।

মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় উপজেলা প্রশাসনের অঙ্গীকার গ্রহণের এ উদ্যোগকে স্থানীয় বণিক সমিতি, দোকান মালিক সমিতি ও পরিবহণ মালিক-শ্রমিকরাও সাধুবাদ জানিয়ে একাত্বতা প্রকাশ করেছেন।