• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০২১, ০৫:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৫, ২০২১, ০৫:১১ পিএম

মোংলায় ঢিলেঢালা বিধিনিষেধ

মোংলায় ঢিলেঢালা বিধিনিষেধ

মোংলা প্রতিনিধি

করোনাভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে ২৭তম দিনে মোংলায় চলমান বিধিনিষেধ কাগজে কলমে সিমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান, জরুরী সেবা ও ওধধের দোকান ব্যাতিত অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কথা। অথচ মোংলা পৌরশহরের অধিকাংশ দোকান পাট খোলা রেখে মানুষের অবাধ চলাচল করতে দেখা গেছে। এর ফলে চলমান কঠোর বিধি নিষেধেও করোনাভাইরাসের সংক্রমন বেড়ে যাবে বলে আশংখ্যা করা হচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার সকালে মোংলা বাজারে গিয়ে দেখাযায়, মানুষের উপস্থিতি আগের মতো। বিধিনিষেধ নিয়ে কারও কোন ভাবনা নেই। মিষ্টির দোকান, খাবার হোটেল, শাড়ী কাপড়ের দোকান, মুদি ও চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে। সাধারণ মানুষ ঘুরে বেড়াচ্ছে স্বাভাবিক ভাবেই। অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। শুক্রবার বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে প্রশাসনের তেমন কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি।

বিধিনিষেধ না মেনে দোকান খোলা রাখার কারন জানতে চাইলে, মোংলার নিউ মেইন রোড়ের কাপড় ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন বলেন, প্রায় এক মাস ধরে লকডাউন দিয়ে রাখা হয়েছে। কেউতো মানছেনা, আমরা শুধু ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি তাই কিছু সময় দোকান খুলে অন্তত বাজারের পয়সা রোজগারের চেষ্টা করছি। আর মুদি দোকানী খলিলুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাস রোধ করতে লকডাইন কোন সমাধান নয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই হচ্ছে মূখ্য বিষয়।আমরা মুখে মাস্ক রাখছি। দোকানে মাস্ক ছাড়া কাস্টমারদের ঢুকতে নিষেধ করছি। তবে কেই মানে আবার কেই মানেনা তখন আমাদের (দোকানদারদের) কিছু করার থাকেনা। 

করোনা সংক্রমণ ও শনাক্ত বেড়ে যাওয়ায় গত ৩০ মে থেকে মোংলায় শুরু হয় কঠোর বিধিনিষেধ। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে নতুন এই বিধি নিষেধ শুরু হয়েছে।পঞ্চম দফায় শুরু হওয়া এ বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসক মো. আজিজুর রহমান বিধি নিষেধের ঘোষণা দেন। তবে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার দাবী করেন, বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছেন তারা।

এদিকে বৃহস্পতিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সএ ৩১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২১ জনের করোনা পজিটিভ হয়। যা পরিক্ষন বিভেচনায় আক্রান্তের হার ৬৫ ভাগ। এর অগে বুধবার ৩২ জনের পরিক্ষায় ৭ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। যা পরিক্ষন বিভেচনায় শনাক্তেরহার শতকরা ২২ ভাগ। এর আগে মঙ্গলবারের হার ছিল ৩৫ ভাগ, আর সোমবার ছিল ৪৩ ভাগ।