• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২১, ১১:৩৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩, ২০২১, ১১:৩৯ এএম

নড়াইলে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৩৪ হাজার পশু

নড়াইলে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৩৪ হাজার পশু

নড়াইলে জেলায় আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রির জন্য ৩৪ হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। গত বছর কোরবানিতে জেলার স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্তত ১০ হাজার গরু ও ছাগল বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি করা হয়েছিলো। 

জানা গেছে, বছর দশেক পূর্বে থেকে নড়াইলের কৃষক ও খামারিরা কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে দেশিয় পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজা করে। এ বছর জেলার চার হাজার এক শত জন খামারি ৩৪ হাজার ৮ শত ৫৮টি গরু, ছাগল ও ভেড়া মোটাতাজা করেছে। যার মধ্যে ২০ হাজার ৭ শত ৯২ টি দেশি গরু, ১৩ হাজার ৯৭৩ টি ছাগল এবং ৯৩টি ভেড়া রয়েছে। গত বছরের তুলনায় ৫ হাজার ৩২৬টি পশু বেশি মোটাতাজা করেছে জেলার চাষিরা। এ বছরও তিনটি উপজেলার মধ্যে নড়াইল সদরে বেশি পশু মোটাতাজা করা হয়েছে।

নড়াইল জেলা প্রাণি সম্পদ সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে চলতি বছর জেলায় তুলনা মূলক কোরবানির চাহিদা বেশ কম। এ বছর কোরবানি ঈদে জেলায় কোরবানির চাহিদা রয়েছে সব (গরু, ছাগল ও ভেড়া) মিলিয়ে সর্ব্বোচ্চ ২২ হাজার। জেলার খামারিরা যে পরিমাণ পশু মোটাতাজা করেছে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্তত ১২ হাজার পশু (গরু ও ছাগল) বিভিন্ন জেলায় যোগান দিতে পারবে।
স্থানীয় খামারিরা জানান, গত বছর ভারত গরু আমদানি কম করায় স্থানীয় গরুর চাহিদা ছিল বেশি। তাই জেলার গরু খামারিরা ভাল মুনাফা লাভ করেছে। প্রথম দিকে করোনার প্রকপ অনেকটা কমে যাওয়ায় চলতি বছর জেলার অনেক খামারি গত বারের তুলনায় আরও বেশি গরু মোটাতাজা করছে। অনেক নতুন খামার গড়ে উঠছে। খামারি ছাড়াও জেলার সাধারণ কৃষকেরা বাড়তি আয়ের জন্য বাড়িতে একটি দুটি করে গরু মোটাতাজা করছে। তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি দুচিন্তায় পড়েছে জেলার  খামারি ও কৃষকেরা। 

নড়াইল জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মারুফ হাসান জানান, গত বছরর করোনা সংকটের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনা করে ‘নড়াইল কোরবানির হাট’ নামে মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েবসাইটেরও উদ্বোধন করা হয়েছিল। যার ফলে জেলার খামারি, কৃষক ক্রেতা উপকৃত হয়েছিল। চলতি বছরও জেলার কৃষক ও খামারিদের কথা চিন্তা করে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।

জাগরণ/এমআর