• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২১, ০৪:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৬, ২০২১, ০৪:১০ পিএম

হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ঈদ ছুটিতে, বেতন তুলতে পারেনি অনেকে

হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ঈদ ছুটিতে, বেতন তুলতে পারেনি অনেকে

সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে ঈদের আগাম ছুটি কাটাচ্ছেন  লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা। ঈদের আগেই অফিস তালাবদ্ধ থাকায় বেতন-বোনাস তুলতে পারেননি সরকারী অনেক কর্মচারী। বৃহস্পতিবার দিনভর অফিসে তালা ঝুলে থাকায় বেতন-বোনাস তুলতে  না পেয়ে ফিরে যান সরকারী অনেক কর্মচারী।

জানা যায়, সরকারি আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখেন উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিস। সকল সরকারি বে-সরকারি দফতরের আর্থিক সেবা দিয়ে থাকে সরকারের এ দফতরটি। সেই গুরুত্বপূর্ণ দফতরটি তালাবদ্ধ থাকায় অনেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আসন্ন ঈদুল আজাহার বোনাস ও বেতন উত্তোলন করতে পারেননি। ফলে তাদের আসন্ন ঈদুল আজাহার কোরবানির পশু ক্রয়সহ সংসারের খরচ মেটানো নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে।

করোনা সংক্রামণ রোধে সরকারিভাবে সারাদেশে ১জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন চলমান ছিল। লকডাউনের সময় সরকারি কোষাগার ঠিক রাখতে হিসাবরক্ষণ অফিসসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি অফিসে সীমিত জনবলে খোলা রাখার নির্দেশনা জারি করে সরকার। এ ছাড়াও ভার্চুয়ালি অফিস চালু রাখার নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। যা ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বলবৎ ছিল। ১৫ জুলাই থেকে লকডাউন শিথিল করে সরকার। ফলে যথারীতি সবকিছুই সচল হয় সারাদেশে। তবে ব্যত্যয় ঘটে শুধু জেলার আদিতমারী উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসে। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দিনভর তালাবদ্ধ ছিল সরকারের গুরুত্বপূর্ণ এ দফতরটি। ফলে সাধারণ সেবা গ্রহীতা ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেবা না পেয়ে ফিরে গেছেন বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। সরকারি অনেক কর্মচারী আসন্ন ঈদুল আজাহার বোনাস ও জুন মাসের বেতন উত্তোলন করতে পারেননি। যে কারণে তারা কোরবানির পশু ক্রয় নিয়ে পড়েছেন বিপাকে।
সরকারি সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার নির্দেশ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। কিন্তু সেই নির্দেশনাকে অমান্য করে উপজেলা হিসাবরক্ষণ অফিসার শাহাজাহান আলী ঈদ করতে ইতোমধ্যে নিজ বাড়ি ঢাকার উদ্দেশে কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন যা তিনি স্বীকার করেছেন।

উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিদার) এরশাদুল আলম বাবু বলেন, ভার্চ্যুয়ালি অফিসে বেশকিছু কর্মচারীর বেতন হলেও আমার মতো অনেকের হার্ডকপি (কাগজে) প্রয়োজন হয়। বুধবার ও বৃহস্পতিবার দুই দিন উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসের দরজায় তালাবদ্ধ থাকায় চলতি সপ্তাহেও বেতন বোনাস তুলতে পারিনি। ফলে আসন্ন ঈদের কোরবানির পশু ক্রয় ও ঈদের আনন্দ মলিন হতে বসেছে। হিসাব রক্ষণ অফিসের অনেককে ফোনে অনুরোধ করেছি, কেউ আসেনি সমস্যা সমাধানে।

আদিতমারী উপজেলা হিসাব রক্ষণ অফিসার শাহজাহান আলী বলেন, সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অফিস করে ঈদ করতে বাড়ি (ঢাকা) যাচ্ছি। চাকরি করি পরিবারের জন্য। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে না পারলে সে চাকরি করে লাভ কি?। যারা বেতন পায়নি, তারা অনলাইনে কাগজ প্রদান করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রংপুর বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মির্জা তারেক বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি সকল ছুটি বাতিল ও কর্মস্থল ত্যাগ না করার নির্দেশনা রয়েছে। এটা অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিধিবর্হিভূতভাবে কর্মস্থল ত্যাগ করা কর্মকর্তাকে মধ্যপথ থেকে ফিরে অফিসে আসতে মোবাইলে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ব্যত্যয় ঘটলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।