• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২১, ০৫:০৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৬, ২০২১, ১১:৪০ পিএম

করোনায় স্থবির কুমিল্লার পর্যটন স্থানগুলো

করোনায় স্থবির কুমিল্লার  পর্যটন স্থানগুলো

মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে স্থবির হয়ে পড়েছে কুমিল্লার পর্যটনস্থান সমূহ। দেশের বিভিন্নস্থান থেকে পর্যটক না আসার দরুন ফাকা হয়ে পরে আছে  কুমিল্লার পর্যটনস্থানগুলো। এতে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুক্ষীন হয়ে পড়েছে কুমিল্লার পর্যটন শিল্পসহ স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সমূহ।

গত দেড় বছর যাবত প্রানঘাতি মহামারী করোনা ভাইরাসের দরুন কুমিল্লার ময়নামতি ক্যান্টনম্যান্টে অবস্থিত ইংরেজ কবরস্থান, কুমিল্লা কোটবাড়ির শালবন বিহার,ময়নামতি যাদুঘর,রুপবান মুড়া,কুমিল্লা বার্ডের ভিতর নীলাচলসহ পাহাড় কোটবাড়ির বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানসমূহ,ওয়াটার কিংডম পার্ক,ব্লু ওয়াটার পার্ক,ডাইনোসর পার্ক, ধর্মসাগর পৌর পার্ক,ফ্যান্টাসি কিংডম, কুমিল্লার সকল পর্যটনস্থান সমূহ বন্ধ থাকার কারণে  পর্যটকের উপস্থিতি নেই।

করোনার দরুন কুমিল্লার এসকল পর্যটন এর স্থান গুলো বন্ধ থাকার দরুন সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে এবং কুমিল্লার এসকল পর্যটনস্থান সমূহ রক্ষণাবেক্ষণ করে যারা তাদের জিবীকা নির্বাহ করে সংসার চালাতেন তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে ।

দেশের পর্যটনের মৌসুম  ঈদের ছুটিতে কুমিল্লার পর্যটনস্থানগুলোতে ভ্রমন পিপাসুদের পদচারণায় পা ফেলার জায়গা থাকেনা এবং  শীতকালে দেশের বিভিন্ন স্কুল,কলেজ ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা সফর ও পিকনিকের লোকজনের পদচারনায় মুখরিত হয়ে থাকত কোটবাড়ির শালবন বিহার,ময়নামতি যাদুঘর,রুপবান মুড়া,কুমিল্লা বার্ডের ভিতর নীলাচলসহ পাহাড় , চিরিয়াখানা-বোটানিক্যাল গার্ডেন, কুমিল্লা প্রানকেন্দ্র কান্দির পাড়ের  ধর্মসাগর পাড়, ডঃ আখতার হামিদ খান প্রতিষ্ঠিত কেটিসিসির দর্শনীয় স্থান সমূহ, কুমিল্লার ইকোপার্ক, জেলার সুয়াগাজীতে অবস্থিত রাজেশপুর পার্ক বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান সমূহ মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে কুমিল্লার   বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান সমূহ ফাকা হয়ে পরে আছে।

কুমিল্লার এসকল পর্যটনস্থান গুলোকে কেন্দ্রকরে যেসকল ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে তাদের ব্যবসার অবস্থা ভাল যাচ্ছেনা। তারা জানান, আগে যেখানে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বিক্রি হত করোনা ভাইরাসের কারনে দরুন দোকান বন্ধ রাখতে হয় যার ফলে আমাদের সংসারের খরচ ও ছেলেমেয়েদের লেখা-পড়ার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে । সরকারের কাছে আমাদের একান্ত আবেদন যেন আমাদেরকে পরিবার নিয়ে চলার মত কোন ব্যবস্থা করেও দেন।