বৈশ্বিক মহামারি করোনা সংক্রমণরোধে সারাদেশে কঠোর লকডাউন চলছে। লকডাউন বাস্তবায়নে তৎপর প্রশাসন। লকডাউনে বন্ধ রয়েছে সকল ধরনের যাত্রীবাহী বাস ও ট্রেন। ফলে স্থবিরতা বিরাজ করছে বাস স্টেশন ও রেলওয়ে স্টেশন গুলোতে। বাস, ট্রেনের সাথে সাথে বন্ধ হয়ে গেছে অনেকেরই রুটি-রুজির পথ বন্ধ। ফলে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন ছিন্নমূল মানুষেরা। যাদের আপন কোন ঠিকানা নেই,শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মই যাদের ঘর-বাড়ি। মানুষের কাছে হাত পেতে কিংবা ট্রেনে ফেরি করে যা আয় হতো তা দিয়েই যাদের জুটতো দুমুঠো অন্ন। ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় স্টেশনে মানুষজন না আসায় কারো কাছে হাতও পাততে পারছেন না। যাওয়ার মতো জায়গা না থাকায় কোথাও যেতেও পারছেন না। ফলে বাধ্য হয়ে তারা অনাহারে, অর্ধাহারে স্টেশনেই দিন কাটাচ্ছেন।
প্লাটফর্মের এক কোনে শুয়ে থাকা বয়োবৃদ্ধা ধনা বিবি বলেন, ইস্টিশিনো মানুষ আহেনা, আমরাও ভিক্ষা করতে পারি না। গতকাল রাইতে চা-রুটি খাইছিলাম, ওহন পর্যন্ত কিছু খাইনাই। কেউ আমরারে কিছু দেহেনা। স্টেশনের আরেক বাসিন্দা আরমান বলেন, লকডাউনের আগে ট্রেইনে পানি বেচতাম। ওখন ট্রেইন চলেনা, ভুখ (ক্ষুদা) ঠিকই লাগে।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুল ইসলাম জানান, কেউই যাতে অভুক্ত না থাকে সেই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ঈদের দিনও তাদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছি। না খেয়ে আছে এই বিষয়টি আমি এইমাত্র জানলাম। খোঁজ নিয়ে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে।
জাগরণ/এমআর