• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২১, ০৪:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১, ২০২১, ০৪:৫৬ পিএম

ভালো দাম পেয়ে হাসি ফিরেছে ঠাকুরগাঁওয়ের পাট চাষিদের

ভালো দাম পেয়ে হাসি ফিরেছে ঠাকুরগাঁওয়ের পাট চাষিদের

দেশের উত্তরের কৃষি নির্ভর জেলা ঠাকুরগাঁও। ধান, গম, ভুট্টার পাশাপাশি এখানে পাটের উৎপাদন হয় অন্যান্য জেলা গুলির তুলনায় বেশি। বিগত কয়েক মৌসুম ধরে পাটের ভালো দাম না পাওয়ায় পাট চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিলো এখানকার চাষিরা। তবে চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁওয়ের হাট-বাজার গুলোতে পাটের ভালো দাম পেয়ে  হাসি ফিরেছে জেলার পাট চাষিদের মুখে।

মৌসুমের শুরুতে বৃুিষ্ট কম হওয়ায় পাট গাছ জাগ দিতে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল চাষিদের। বর্তমানে সব সংশয় উড়িয়ে দিয়ে বেশি দামে পাট বিক্রি করতে পেরে ফুরফুরে মেজাজেই রয়েছেন তারা।

সদর উপজেলার বড় খোচাবাড়ি বাজার, রোড রেল স্টেশন বাজার, গড়েয়া বাজার গিয়ে দেখা যায় পাট চাষিরা ভ্যান,অটোরিকশা,ভটভটি কেফবা আবার নসিমনে করে পাট নিয়ে আসছেন বিক্রির জন্য।

গড়েয়া বাজারে কথা হয় পাটচাষি মকবুলের সাথে। তিনি জানান,তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে তার খরচ হয়েছে বিশ হাজার টাকার মতো। পাট উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৪৫ মণ। তিন হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি করে পাওয়া গেছে ১লাখ ৩৫হাজার টাকা।

নারগুন কহরপাড়া এলাকার পাটচাষি মাধব জানান, চার বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছিলাম। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ফলনও হয়েছে ভালো। শুরুতে দাম পাবো না বলে ভেবেছিলাম। এখন  বাজারে প্রায় দিগুন দামে বিক্রি করছি। গত ৫/৭বছরেও এত বেশি দামে পাট বিক্রি করতে পারিনি। এ ছাড়াও আরও অন্তত বিশ হাজার টাকার পাটখড়ি জ্বালানি হিসেবে বিক্রি করতে পারবো।

ঢাকা থেকে পাট কিনতে আসা ব্যবসায়ী আবু নাছের জানান,এ অঞ্চলে পাটের মান ভালো। আমদানিও ভালো। মান ভেদে ২ হাজার ৬শ থেকে ৩ হাজার টাকায় পাট কিনছেন তিনি। তার ক্রয়কৃত পাট ঢাকা সহ বিভিন্ন অঞ্চলে পাটকল মালিকদের পাঠান। ভালো লাভের আশায় এবার ৮০লাখ টাকার পাট কিনে রেখেছেন তিরি।  

খোচাবাড়ি বাজারের হাট ইজারাদার উত্তম কুমার রায় জানান, সপ্তাহে দুই দিন এ বাজারে প্রায় কোটি  টাকার পাট কেনা বেচা হয়ে থাকে। বেশির ভাগ ব্যবসায়ীরা নীলফামারি জেলার সৈয়দপুর উপজেলা থেকে আসেন। এ ছাড়াও পাটের মান ভালো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষও এ বাজারে পাট কিনতে আসে।

ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, জেলার সব উপজেলাতে কম বেশি পাটের আবাদ হয়েছে। এবার পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬হাজার ৮১৭ হেক্টর জমিতে। কিন্তু ৫২৫ হেক্টর বেড়ে পাটের চাষাবাদ হয়েছে ৬হাজার২৯২ হেক্টর জমিতে। এ অঞ্চলের পাট রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মিল-কারখানায় বিক্রি হয়ে থাকে। পাটের চাষ বেশি এবং মৌসুমের শুরুতে ভালো দাম পেয়ে আগামীতে পাটচাষে আরও আগ্রহী হয়ে উঠবেন চাষিরা ।