যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে সিরাজগঞ্জের ৫ উপজেলার চরাঞ্চলের ২৮টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
যুমনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই জেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলসহ সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। অপরদিকে পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চৌহালী, এনায়েতপুর ও শাহজাদপুরে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ডুবে গেছে এসব অঞ্চলের শত শত একর ফসলি জমি।
জেলা প্রশাসক জানায়, বন্যা দুর্গতদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ মজুদ রয়েছে। ইতোমধ্যে শাহজাদপুরে ৫ মেট্রিক টন চাল ও ৮০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। কাজিপুরে ১০ মেট্রিক টন চাল ও ১ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বন্যা কবলিত উপজেলাগুলোতে ১২ মেট্রিকটন চাল আর নগদ ১ লাখ টাকা করে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পূর্নবাসন কর্মকর্তা জানান, সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর ও চৌহালী উপজেলায় ২৮টি ইউনিয়নের প্রয় শতাধীক গ্রামের কমপক্ষে সারে ৩ হাজার পরিবারের ১৮ হাজার লোকজন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া, ৪১২ টি বাড়িঘর আংশিক ও পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে বন্যার্তদের ১৩৯টি কেন্দ্রে আশ্রায় দেওয়া হয়েছে। ৫টি উপজেলায় ১২৫ মেট্রিক টন ক্ষয়রাতি চাল এবং ৫ লাখ নগদ টাকা সাহায্য দেওয়া হয়েছে।