• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১, ০৯:২১ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১, ০৯:২১ এএম

রাণীনগরে টিসিবির পণ্য নিতে উপচে পড়া ভিড় 

রাণীনগরে টিসিবির পণ্য নিতে উপচে পড়া ভিড় 

সারা দেশের মতো নওগাঁর রাণীনগরেও চলছে টিসিবির মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি। করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য বিধি বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার করে ও সামাজিক দূরত্ব মেনে এই পণ্যগুলো বিক্রি করার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। আবার অনেকের রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। তাই সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে এই পণ্য বিক্রির প্রতি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন অনেকেই। যেহেতু বর্তমানে করোনা গ্রামে মহামারি আকার ধারণ করেছে তাই পণ্য নিতে গ্রাম থেকে আসা এই মানুষগুলোর মাধ্যমে নতুন করে সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।

সূত্রে জানা গেছে, স্বল্প ও সঠিক দামে তেল, চিনি, ডালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্মবিত্ত মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে চালু করা হয় টিসিবি সেবা। নির্দিষ্ট ডিলারদের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ গাড়ীতে এই পণ্যগুলো একটি প্যাকেজের মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ও অন্যান্য স্থানে সপ্তাহে ৩দিন করে এই টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু এই পণ্যগুলো বিক্রির সময় মহামারি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কোন প্রকারের স্বাস্থ্যবিধি বিশেষ করে মাস্ক ব্যবহার করছেন না অনেকেই। এছাড়া সামাজিক দূরত্বও একেবারেই মানা হচ্ছে না। ভ্রাম্যমাণ গাড়ী এলেই শত শত মানুষ হুমুরি খেয়ে পড়ছেন। অনেকেই ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে ক্রয় করছেন এই পণ্যগুলো। আবার স্বজনপ্রীতি করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

পণ্য কিনতে আসা অনেকেই অভিযোগ করে বলেন অনেক ক্রেতাকে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে অপেক্ষা করার পর এই পণ্যগুলো পেতে হচ্ছে আবার অনেক প্রভাবশালীরা আড়ালে থেকেও পণ্যগুলো নিয়ে যাচ্ছেন। তারপরও অনেক ডিলাররা বেশি মুনাফার আশায় পণ্য মজুদ রেখেও বলে শেষ হয়ে গেছে। পরে তারা সেই পণ্যগুলো বেশি দামে দোকানে কিংবা নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে। এতে করে প্রতারিত হচ্ছে লাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা দাড়িয়ে থাকা সাধারণ মানুষরা। এছাড়াও উপজেলা কিংবা পুলিশ প্রশাসনের কোন সদস্য টিসিবি পণ্য বিক্রির সময় উপস্থিত না থাকা কিংবা সঠিক ভাবে পর্যবেক্ষণ না করার কারণে সবাই আগে পাওয়ার আশায় হমুড়ি খেয়ে পড়েন। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, প্রথম দিকে একাধিক ডিলারকে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ জরিমানা করেছি। এরপর থেকে সঠিক ভাবে এই পণ্য বিক্রির লক্ষ্যে আমি একজন কর্মকর্তাকে মনিটরিং এর দায়িত্বে রাখি। কিন্তু পণ্য নিতে আসা এতোগুলো মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা একজন মানুষের পক্ষে অনেক কষ্টসাধ্য একটি বিষয়। পরবর্তিতে আমি স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরত্ব পালনে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। 

জাগরণ/এমআর