• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১, ০৩:৫৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১, ০৩:৫৪ পিএম

ব্রীজ ভেঙে দুর্ভোগে মানুষ

ব্রীজ ভেঙে দুর্ভোগে মানুষ

খালিদ হাসান, ঝিনাইদহ

রাস্তার দু-ধারে টাঙানো লাল কাপড়। মাঝে ছোট ব্রীজের একাংশ ভেঙে পড়ে রয়েছে প্রায় দুই বছর। তাই চলাচলের জন্য পাশেই একটি বাশের সাকো তৈরি করা হয়েছে। সেটির অবস্থাও জরাজীর্ন। ভ্যান-রিক্সা, সাইকেল নয় কোনো রকমে মানুষ চলাচল করে। চিত্রটি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ফুলবাড়ি ব্রীজের। 

জানা যায়, ভৈরব নদীর উপর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের বারোবাজার ফুলবাড়ি এলাকায় অবস্থিত ব্রীজটি আকারে ছোট হলেও পাশ্ববর্তি ফুলবাড়ি, ঝনঝনিয়া, কাস্টভাঙ্গা, বেলে ঘাটসহ বিভিন্ন গ্রাম এবং যশোরের চৌগাছা উপজেলার মানুষ বারোবাজার, কালীগঞ্জ এলাকায় যাতায়াতের পাশাপাশি জরুরী প্রয়োজন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ব্রীজটি ব্যবহার করে থাকেন। পাশাপাশি দু-পাশের কৃষকের ক্ষেতের সবজি যশোরের চুড়ামনকাঠিসহ বিভিন্ন বাজারে পৌছাতেও ব্যবহার করা হতো ব্রীজটি। কিন্তু প্রায় দুই বছর আছে ভৈরব নদীর এই অংশটি খনন করা হয়। ফলে খনন পরবর্তি বর্ষায় পানির চাপ বেড়ে যায় নদীতে। ফলে পানি তোড়ে ভেঙে পড়ে ব্রীজের একাংশ। কিছুদিন পরে এই স্থানে যেনতেন ভাবে একটি বাশের সাকো তৈরি করা হলেও সেটিও ভেঙে গেছে। প্রায় এক মাস আগে এই স্থানে রাতে মটরসাইকেল নিয়ে যাওয়ার সময় নদীতে পড়ে দুই জনের মৃত্যু হয়। 

জমিতে চাষ দেওয়া ট্রাক্টর চালক ইসরাইল হোসেন জানান, এই ব্রীজ ভেঙে থাকার কারনে পাশ্ববর্তি ঝনঝনিয়াসহ অন্যান্য গ্রামে যেতে অনেক পথ ঘুরতে হয়। এতে ঠিকমত যেমন যেতে পারিনা তেমনি অনেক পথ ঘুরে যাওয়ার কারনে সময় ও অর্থের ব্যয় হয় অনেক বেশী। ঝনঝনিয়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, আমার বাড়ি থেকে বাজার মত্র দুই কিলোমিটার। কিন্তু এই ব্রীজ ভাঙার কারনে পাঁচ কিলো ঘুরে যেতে হয়। ক্ষেতের কাচা তরকারি বারোবাজার ও যশোরের চুড়ামনকাঠি বাজারে নিতে অনেক সমস্যা হয়। তাই ব্রীজটা যদি দ্রুত মেরামত করা হয় কিংবা নতুন তৈরি করা হয় তাহলে আমাদের অনেক সুবিধা হত। 

একই এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান জানান, এই এলাকায় বড় বড় কথা বলার অনেকেই আছে। কিন্তু কাজের কাজ কেউ করে না। যদি কেউ কাজ করার মত থাকতো তাহলে গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রীজটি বেহাল অবস্থায় এতো দিন পড়ে থাকতো না।
 
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী রুহুল ইসলাম জানান, চলাচলের অযোগ্য ব্রীজটি অচিরেই পুন:নির্মাণের কাজ শুরু হবে। টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। কাজটি পেয়েছেন ঝিনাইদহের ঠিকাদার মিজানুর রহমান। ব্রীজেটি পরিদর্শন করে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হবে। ২৫ মিটার প্রস্থের ভৈরব নদীর উপর অবস্থিত ৬০ মিটার দৈর্ঘের ব্রীজটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ কোটি ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।