• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১, ০৪:০৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১, ০৪:০৩ পিএম

বাঁচতে চায় শিশু শাহাদাত

বাঁচতে চায় শিশু শাহাদাত

খেলাধুলা, ছোটাছুটি আর হইহুল্লোড়ে চারদিক মাতিয়ে রাখতো শিশুটি। মা-বাবা, ভাইসহ প্রতিবেশীদের সঙ্গে তার সখ্য একটু বেশিই। শাহাদাত হোসেন (৯) নামের এই শিশুটি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে আক্রান্ত। 

শিশুটির চোখে-মুখে এখন বাঁচার আকুতি। শিশুটি বর্তমানে গত চারদিন ধরে ঢাকা শ্যামলী শিশু হাসপাতালের এক নাম্বার ওয়ার্ডের ৩৯ নাম্বার সিটে চিকিৎসারত।  শাহাদাত লক্ষ্মীপুরের রায়পুর চর বামনী গ্রামের দরিদ্র দিনমজুর মাসুদ আলমের ছেলে। 

পরিবার সুত্রে জানা যায়, শাহাদাতের বাবা মাসুদ আলম দরিদ্র দিনমজুর। স্ত্রী ও দুই ছেলে নিয়ে কোনও রকম সংসার চালান। দুই ছেলে বড় হবে, এক সময় সংসারের হাল ধরবে—এমন স্বপ্ন নিয়ে তিনি তাদের লেখাপড়া করাচ্ছিল, কিন্তু শাহাদাতের বয়স যখন ২ বছর, তখন তার জ্বর হয়ে ফুলে যায়। অনেক চিকিৎসা দেওয়া হলেও জ্বর ভালো হয় না। পরে তাকে লক্ষ্মীপুরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুই কিডনি অকেজো ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত ঢাকা শিশু হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা শেষে কিছুটা ভালো হলে তাকে গ্রামের বাড়ি আনা হয়। করোনার কারণে তার চিকিৎসা কোনরকম চলছিলো। গত চারদিন আগে তার সমস্যা বেশি দেখা দিলে তাকে শ্যামলী শিশু হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার মো. হানিফ ও শিরিনা আফরোজার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। দুই চিকিৎসকই পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, দেশে তার চিকিৎসা নেই। 

শিশু শাহাদাত বলে, 'আমি বাঁচতে চাই। বন্ধুদের সাথে খেলতে চাই।' শিশুটি যখন কথা বলছিল, তখন বাবা-মাসহ স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। 

শিশুটির বাবা মোঃ মাসুদ বলেন, ‘আমরা ভাবছি, শাহাদাতকে ভারতে নিয়ে চিকিৎসা করাবো, কিন্তু এতদিন দেশের মধ্যে চিকিৎসা করাতে গিয়েই ধার-দেনাসহ ভিটে-মাটি সম্ভাব্য সব টাকার উৎস শেষ হয়ে গেছে। বাইরে চিকিৎসা করাতে গেলে প্রায় ২০ লাখ টাকা প্রয়োজন। এখন কীভাবে কী করবো! কিন্তু আমার ছেলেটা বাঁচতে চায়। পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায়। ছেলেকে বাঁচাতে সরকারসহ বিত্তবানদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি।’ 

শাহাদাতের বাবার বিকাশ পারসনাল নাম্বার: ০১৮৫১৮৫৫৮১। এই নম্বরে শিশুটির জন্য মানবিক সাহায্য পাঠানো যাবে। অথবা সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ১০০১০৪৬৪৯, রাখালিয়া শাখা, সোনালি ব্যাংক এবং ৩৩০১৬৯, রায়পুর শাখা, ইসলামি ব্যাংক, বাংলাদেশ। এই নম্বরেও টাকা পাঠানো যাবে।