• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১, ১০:১৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২১, ১০:১৩ এএম

শিশুদের জন্য দৃষ্টিনন্দন পার্ক

শিশুদের জন্য দৃষ্টিনন্দন পার্ক

নদী ও বিল বেষ্টিত উপজেলা নওগাঁর আত্রাই। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি হওয়া গুচ্ছ গ্রামগুলোতে শিশু স্বাস্থ্য নিশ্চিত ও তাদের বিনোদনের জন্য শিশুপার্ক নির্মাণ করা হয়েছে। সেই সাথে নির্মল বাতাসের জন্য গ্রামগুলোতে ফলজ, বনজ ও ওষুধি গাছ রোপণ করে সবুজ বেষ্টনি তৈরী করা হচ্ছে। এছাড়াও আশ্রয়ণ কেন্দ্রে বসবাসরত সকলকে সরকারী বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার আওতায় আনা হচ্ছে।

জানা যায়, মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে আত্রাই উপজেলায় দুই ধাপে পাঁচ স্থানে ১৮৫টি বাড়ী নির্মাণ করা হয়েছে। এই বাড়ীগুলো ইতিমধ্যেই সুবিধাভোগীদের মাঝে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। বাড়ী পেয়ে সেখানে আনন্দেই বসবাস করছেন ভূমি ও গৃহহীন পরিবারগুলো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকতেখারুল ইসলামের পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে রসুলপুর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে শিশুদের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে শিশুপার্ক নির্মাণ করেছেন। একই সাথে রাস্তার দুইধার ও আশ্রয়ণ কেন্দ্রের চারিধারে পাঁচশত ফলজ ও বনজ বৃক্ষ রোপণ করেছেন। অপরদিকে মধুগুড়নই আশ্রয়ণ কেন্দ্রে নদীরধারে গাইড ওয়াল তৈরী করে তাতে মাটি ভরাট দিয়ে সেখানেও শিশুদের বিনোদন দিতে দোলনা এবং নদীর নির্মল বাতাস নেওয়ার জন্য স্থায়ী বসবার জায়গা তৈরি করেছেন। এই কেন্দ্রেরও চারিধারে পাঁচশত ফলজ ও বনজ বৃক্ষ লাগিয়ে সেখানে সবুজ বেষ্টনি তৈরী করা হয়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, আত্রাই-নওগাঁ আঞ্চলিক সড়কের রসুলপুর নামক স্থানে ১নং খতিয়ানভুক্ত দুই দশমিক নব্বই একর উঁচু জমিতে দুই ধাপে আশ্রয়ণপ্রকল্পের ৭৩টি বাড়ী নির্মান করা রয়েছে। তাতে আনুমানিক তিনশ মানুষ বসবাস করছেন। কেন্দ্রের পার্শ্বে মাদ্রাসা, মসজিদ, কমিউনিটি ক্লিনিক, খেলার মাঠও রয়েছে। আশ্রয়ণকেন্দ্রের রাস্তায় ও চারিধারে পাঁচশত ফলজ ও বনজ বৃক্ষ রোপন করা রয়েছে। সেখানকার শিশুপার্কে শিশুদের বসবার স্থান, দোলনা, স্লিপার, গোল চত্তর এবং ফুলের বাগান রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রের প্রবেশদ্বারে প্রকল্প সম্পর্কিত  বিলবোর্ড দেয়া আছে। অপরদিকে মধুগুড়নই গ্রাম তৈরি হওয়া গুচ্ছগ্রামেও একই পরিবেশে সৃষ্টি করা হয়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মেহেদী হাসান বলেন উপজেলা নির্বাহী স্যারের নির্দেশনা ও পরামর্শক্রমে গুচ্ছগ্রামে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই অঞ্চলগুলোতে বসবাসরত পরিবারের শিশুদের বিনোদনের মধ্যে বড় হওয়া ও মেধা বিকশিত করার লক্ষ্যে মিনি পার্কের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আশা রাখি এই শিশুরা একটি সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে বেড়ে উঠবে। আগামীতেও আমাদের এই ধরনের কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, শিশুদের বিনোদনের জন্য রসুলপুর ও মধুগুড়নই আশ্রয়ণকেন্দ্রে শিশুপার্ক নির্মাণ করেছি। সবুজ বেষ্টনি গড়ে তোলার লক্ষ্যে কয়েক হাজার বিভিন্ন জাতের গাছের চারাও রোপন করা হয়েছে। আশ্রয়ণকেন্দ্রের সকল মানুষকে সরকারের দেওয়া বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত মানুষদের সুন্দর ও ছিমছাম পরিবেশে বসবাসের জন্যই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। যেন গুচ্ছগ্রামে বসবাস করতে গিয়ে শিশু ও অন্যান্য মানুষরা একঘেয়েমী হয়ে না পড়ে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে গৃহ ও ভূমিহীন সকল মানুষকে সকল সুবিধার আওতায় আনতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

জাগরণ/এমআর