ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ইঞ্জিনরুমে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রায় ৯ লাখ লিটার ডিজেলসহ ডুবে যাচ্ছে সাগর নন্দীনি-৩ নামে তেলবাহী জাহাজটি। বিস্ফোরণে জাহাজের তলা ফেটে গেছে। এরই মধ্যে পানি ঢুকে ডুবতে শুরু করেছে জাহাজটি। যেকোনো সময় সম্পূর্ণ জাহাজ ডুবে যেতে পারে।
ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জাহাজের ইঞ্জিন রুমে পাম্প মেশিন মেরামত করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের ফলে ওই রুমে অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়। এতে জাহাজের ১৩ স্টাফের মধ্যে ৮ জন শ্রমিক দগ্ধ হন। দগ্ধদের মধ্যে সুকানি কামরুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী এবং পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জাহাজে বহনকৃত তেল দ্রুত সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেন।
ঝালকাঠি পদ্মা অয়েল কোম্পানির কর্মী আব্দুস সালাম জানান, সাগর নন্দীনি-৩ জাহাজটি প্রায় ১৫ লাখ লিটার পেট্রোল ও ডিজেল নিয়ে ঝালকাঠির পদ্মা অয়েল কোম্পানির সামনে সুগন্ধা নদীতে নোঙর করে। গত বুধবার পদ্মা ডিপোতে পেট্রোল খালাস করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে জাহাজটি সুগন্ধা নদীর দক্ষিণ পাড়ে নোঙর করে রাখা হয়। আজ ডিজেল খালাস করার কথা ছিল। সকাল সাড়ে আটটার দিকে ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে জাহাজটির ইঞ্জিন রুমের তলা ফেটে আস্তে আস্তে জাহাজটি ডুবে যাচ্ছে।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, এক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বিস্ফোরণে জাহাজের তলা ফেটে পানি ঢুকছে। জাহাজটি যাতে পানিতে ডুবে না যায়, সেজন্য ভেতরে থাকা প্রায় ৯ লাখ লিটার ডিজেল অন্য একটি জাহাজে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে।
জাগরণ/এমইউ