ঢাকার সাভারে পারিবারিক কলহের জেরে গরম তেল ঢেলে স্বামীর শরীর ঝলসে দিয়েছেন স্ত্রী। ঐ অবস্থায় তাকে ১০ দিন ঘরেই আটকে রাখেন তিনি। অবশেষে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।
অভিযুক্ত ফরিদা সাভারের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়নের হেমায়েতপুর নতুনপাড়া এলাকার আমিনুলের স্ত্রী। রোববার দুপুরে বাসা থেকে ভুক্তভোগী স্বামীকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে, ১৯ নভেম্বর গভীর রাতে আমিনুলের শরীরে গরম তেল ঢেলে দেন ফরিদা।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলামের বাড়ি ফরিদপুরের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রতনাই বাঘা গ্রামে। তিনি সাভারের একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। অভিযুক্ত ফরিদা রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হরিণাডাঙ্গী গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে। তিনি হেমায়েতপুরের এজিআই পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে চাকরি করেন।
আমিনুলের পরিবারের সদস্যরা জানান, কয়েকদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। এরই জেরে ১৯ নভেম্বর রাতে নিজ ঘরে ঘুমন্ত আমিনুলের মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গরম তেল ঢেলে দেন ফরিদা। এতে মুহূর্তেই তার মুখ ও শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। পরে আমিনুলের চিৎকারে বাড়িওয়ালা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে হেমায়েতপুরের জামাল ক্লিনিকে ভর্তি করে। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাসায় ফেরত পাঠানো হলে বিষয়টি গোপন রেখে তাকে ১০ দিন ঘরেই বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখেন স্ত্রী ফরিদা। স্থানীয়রা বিষয়টি বুঝতে পেরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে আমিনুলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠায়।
হেমায়েতপুর ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সুজন সিকদার বলেন, ভুক্তভোগী আমিনুলের স্ত্রী ফরিদা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এমইউ