বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বাড়ির মালিকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের জেরে ১৮ বছর বয়সী এক গৃহকর্মী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে তিনি ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এদিকে, ঐ তরুণী গৃহকর্মীর অকাল গর্ভপাত করানোর পাশাপাশি তার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত বরকতুল্লাহ নামে ঐ ব্যক্তি একজন অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ কনস্টেবল। তিনি ঐ উপজেলার বাগবেড় গ্রামের বাসিন্দা। অন্তঃসত্ত্বা গৃহকর্মীর অভিযোগ, তিনি বরকতুল্লাহর বাড়িতে কাজ শেষে রাত ৯টার দিকে নিজের বাড়িতে ফিরতেন। এর আগে, বাড়িতে কেউ না থাকলেই বরকতুল্লাহ ঐ তরুণীকে শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে বাধ্য করতেন।
ভুক্তভোগীর দাবি, অবসরপ্রাপ্ত কনস্টেবলই তার অনাগত সন্তানের বাবা।
ঐ গৃহকর্মীর মা জানান, তিনি মেয়ের গর্ভপাত করানোর জন্য বগুড়া শহরের এক বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যান। কিন্তু সন্তানের বয়স ৬ মাস হওয়ায় চিকিৎসক তাদের ফিরে দেন। ঐ অবস্থায় গর্ভপাত করানো হলে তার মেয়ের মৃত্যু হতে পারে।
তিনি আরো জানান, বরকতুল্লাহর চাপেই সন্তান নষ্ট করার চেষ্টা করেছিলেন তারা। গর্ভপাতের জন্য বরকতুল্লাহ বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে তাদের কাছে ৫০ হাজার টাকাও দিয়েছেন। কিন্তু গর্ভপাত না হওয়ায় বরকতুল্লাহ তাদের হুমকি দিচ্ছেন। ভয়ে তারা মেয়েকে নিয়ে বাড়ির বাইরে যেতে পারছেন না। বরকরুল্লাহ হুমকি দিয়েছেন- যে করেই হোক, গর্ভপাত করাতেই হবে। প্রয়োজনে আরো টাকা দেওয়া হবে। নইলে ঐ গৃহকর্মী ও তার পরিবারের ক্ষতি করা হবে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অবসরপ্রাপ্ত কনস্টেবল বরকতুল্লাহর সঙ্গে ঐ গৃহকর্মীর অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। এখন বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা করছেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কনস্টেবল বরকতুল্লাহর ছেলে খায়রুল জানান, তার বাবা এ ধরনের অপরাধ করতেই পারেন না।
সারিয়াকান্দি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লাল মিয়া জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন কিন্তু কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমইউ