জামালপুরে পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদকে প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা। সেই সঙ্গে আগামী দুই দিনের জন্য দেওয়া হয়েছে নতুন কর্মসূচি।
টানা আন্দোলনের সপ্তম দিন শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে জেলার সাংবাদিকদের সব সংগঠনের অংশগ্রহণে শহরের বকুলতায় অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন থেকে এই নতুন কর্মসূচি দেওয়া হয়। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শনিবার মৌন মিছিল এবং রবিবার ডিসি অফিস ঘেরাও।
জামালপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দৈনিক সংবাদের সাংবাদিক সুশান্ত কানুর সভাপতিত্বে ও কালের কণ্ঠের সাংবাদিক মোস্তফা মনজুর রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি যায়যায়দিনের সাংবাদিক ইউসুফ আলী, সাধারণ সম্পাদক যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক শোয়েব হোসেন, আজকের জামালপুরের সম্পাদক এমএ জলিল, সচেতন কণ্ঠের সম্পাদক বজলুর রহমান, চ্যানেল টুয়েন্টিফোরের সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন মিন্টু, বাংলার চিঠির সম্পাদক জাহাঙ্গীর সেলিম, নিউজ টুডের সাংবাদিক সুলতান আলম, মানবকণ্ঠের সাংবাদিক কাফি পারভেজ, জামালপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আমাদের সময়ের সাংবাদিক আতিকুল ইসলাম রুকন, এসএ টিভির সাংবাদিক ফজলে এলাহী মাকাম, ইত্তেফাকের সাংবাদিক শাহ জামাল প্রমুখ।
মানববন্ধন থেকে পুলিশ সুপারকে দ্রুত প্রত্যাহার এবং অনুমোদনবিহীন পুনাক মেলা বন্ধের দাবি জানান সাংবাদিক নেতারা। সেই সঙ্গে নতুন কর্মসূচিতে সমাজের সব শ্রেণিপেশার মানুষকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
বক্তারা আরও বলেন, পুলিশ সুপার যোগদানের পর থেকেই জামালপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। হত্যা, ধর্ষণ, গুমসহ ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজির পরিমাণ বেড়ে গেছে। প্রায় প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে অজ্ঞাতনামা লাশ। সেই সঙ্গে ঘুষ ও দুর্নীতিতে ডুবে গেছে পুলিশ প্রশাসন। এই অরাজকতা থেকে জামালপুরবাসীকে রক্ষায় পুলিশ সুপারের দ্রুত প্রত্যাহার জরুরি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে পুনাক মেলা সম্পর্কে অবহিত করতে সাংবাদিকদের মেলা প্রাঙ্গণে ডাকেন ওই পুলিশ সুপার। তার ডাকে সাড়া দিতে না পারায় পুলিশ সুপার ক্ষিপ্ত হয়ে জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমানসহ সাংবাদিকদের ধরে পিটিয়ে চামড়া তুলে নেয়াসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ফাঁসানোর হুমকি দেন। এর প্রতিবিাদে আন্দোলনে নামেন জেলার কর্মরত সাংবাদিকরা।
এসকেএইচ//