বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের আরবি ও ইসলাম শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক জাকিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার ঐ কলেজের অডিটোরিয়ামের অনার্স (স্নাতক) প্রথম বর্ষের পরীক্ষা চলাকালীন এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ছাত্রী বগুড়ার এক কলেজের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ঘটনার দিন তিনি প্রথম বর্ষের এক বিষয়ের (সাবজেক্ট) ইমপ্রুভ (মানোন্নয়ন) পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে, ভুক্তভোগী ছাত্রী শনিবার আজিজুল হক কলেজ অডিটোরিয়ামে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। পরীক্ষা চলাকালীন (দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা) প্রভাষক জাকিরুল নানা অজুহাতে শরীরে বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করে তাকে শ্লীলতাহানি করেন। কিন্তু পরীক্ষা চলাকালীন এ ঘটনার তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিবাদ করেননি ঐ পরিক্ষার্থী। পরীক্ষা শেষে তিনি (ছাত্রী) বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের সবকিছু খুলে বলেন।
জানা গেছে, রোববার দুপুরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার বাবাকে সঙ্গে নিয়ে আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসেন। সবকিছু শুনে অধ্যক্ষ শাহাজাহান আলী নিজ কার্যালয়ে অভিযুক্ত প্রভাষককে ডেকে নেন এবং ভুক্তভোগী ছাত্রী ও অভিযুক্ত প্রভাষককে মুখোমুখি করেন। এ সময় মেয়েটির অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছেন অধ্যক্ষ শাহাজাহান আলী।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত প্রভাষক জাকিরুল ইসলাম বলেন, ঐ মেয়েটি পরীক্ষা চলাকালীন বারবার পেছনের দিকে তাকাচ্ছিলেন। এ কারণে আমি তার হাত ধরে তাকে সোজাভাবে বসিয়ে দিয়েছি শুধু। আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ পুরোপুরি সত্য নয়।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা জানান, তিনি তার মেয়ের শ্লীলতাহানির ঘটনার বিচার চান। শিক্ষক হয়ে কীভাবে এমন ঘটনা তিনি ঘটাতে পারেন, তা অবিশ্বাস্য! অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে তিনি তার মেয়ের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন।
জানতে চাইলে আজিজুল হক কলেজের অধ্যক্ষ শাহাজাহান আলী বলেন, মেয়েটির অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্ত প্রভাষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমইউ