যশোরে আবাসিক ছাত্রাবাসের কাজের বুয়ার সঙ্গে বাড়ির মালিকের অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় নড়াইলের মো. রাকিবুল ইসলাম নামে এক কলেজছাত্রকে খুনের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার নড়াইল সদর হাসপাতালে তার ময়নাতদন্ত হয়েছে।
শুক্রবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন। ময়নাতদন্তে নিহতের মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।
নিহত মো. রাকিবুল ইসলাম নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার চরকালনা গ্রামের কাতার প্রবাসী আনিসুর রহমানের ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, রাকিবুল যশোর আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে মার্কেটিং বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করছিল। পড়াশোনার সুবাদে সে যশোর শহরের ওয়াপদা গ্যারেজ রোডে মিলন তানহা নামে একটি ছাত্রাবাসে থাকত। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাকিবুলের রুমমেট রাজু মোবাইলে জানায়- রাকিব স্ট্রোক করে মারা গেছে।
তারা আরো জানান, যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাকিবুলের লাশ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। পথে ঝাঁকিতে লাশ থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকলে নিহতের মাথায় আঘাত দেখতে পেয়ে স্বজনরা বুঝতে পারেন রাকিবুলকে খুন করা হয়েছে। পরে তারা লোহাগড়া থানায় অভিযোগ করেন।
পরিবারের অভিযোগ, সম্প্রতি মিলন তানহা ছাত্রাবাসের বাড়ির মালিক মিলনের সঙ্গে ছাত্রাবাসের কাজের বুয়ার অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলে রাকিবুল। পরে এসব কাজে না জড়াতে বাড়িওয়ালাকে নিষেধ করে সে। এরই জেরে রাকিবুলকে তার রুমমেটদের সহায়তায় পরিকল্পিতভাবে খুন করে বাড়ির মালিক মিলন।
নড়াইল সদর হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাকিবুলের ময়নাতদন্ত হয়েছে। ময়নাতদন্ত বোর্ডের প্রধান ডা. দীপঙ্কর কুমার জানান, মাথায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতে রাকিবুলের মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বোর্ডের সব সদস্য মতামত দিলেই চূড়ান্ত বিষয়টি জানানো হবে।
লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘটনাস্থল যশোর কোতোয়ালি থানাধীন হওয়ায় সেখানেই মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ইউএম