• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২২, ০৫:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২১, ২০২২, ১১:৪৬ পিএম

খাদ্যগুদামে খাবার অযোগ্য চাল, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরখাস্ত

খাদ্যগুদামে খাবার অযোগ্য চাল, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরখাস্ত

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সরকারি খাদ্যগুদামে রাতের অন্ধকারে খাবার অযোগ্য পচা চাল ঢোকানোর অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোর্শেদ আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রংপুরস্থ আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ আব্দুস সালাম তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের আদেশ দেন। সেই সঙ্গে পার্শ্ববর্তী রাজিবপুর উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিককে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে রৌমারী খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন। 

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে এই আদেশের কপি অফিসিয়াল ই-মেইল মারফত পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন রৌমারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আল ইমরান। 

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলা খাদ্যগুদামে কুড়িগ্রাম থেকে পাঠানো ভালো চাল গুদামে না ঢুকিয়ে তার পরিবর্তে স্থানীয় মিলারদের কাছ থেকে খাবার অযোগ্য চাল নিয়ে ঢোকানো হচ্ছিল। এ সময় হাতেনাতে ধরা পড়ার পর খাদ্যগুদাম সিলগালা করা হয়। এছাড়া বুধবার দুপুরের দিকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট বিভাগীয় তদন্ত কমিটি সরেজমিন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পান। এরই প্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোর্শেদ আলমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ইউএনও আরও জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ৩০ কেজি ওজনের ১৭৩ বস্তা খাবার অযোগ্য চাল গুদামে ঢোকানো হয়। গুদামে বাইরে তখন ঢোকানোর অপেক্ষায় ছিল ৭৭ বস্তা চাল। এ খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে গুদামে ঢোকানো ১৭৩ বস্তা চালসহ আগে থেকে রক্ষিত ১৯ মেট্রিক টন চালসহ ১ নম্বর গুদাম সিলগালা করা হয়। আর বাইরে থাকা ৭৭ বস্তা চাল সশস্ত্র আনসারের পাহারায় রাখা হয়। ভিজিডিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি'র উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরণের জন্য জেলা সদরের খাদ্যগুদাম থেকে ৩০০ মেট্রিক টন চাল রৌমারী উপজেলা খাদ্যগুদামে পাঠানোর চলাচল কর্মসূচি দেওয়া হয়। এই চলাচল কর্মসূচি'র আওতায় জেলা সদর থেকে দু'দিন আগে ১৫৪ মেট্রিক টন চাল রৌমারীতে পাঠানোর জন্য ছাড় করা হয়। কিন্তু সে চাল গুদামে না ঢুকিয়ে রাতের অন্ধকারে স্থানীয় মিলারের কাছ থেকে ওই খাবার অযোগ্য চাল গুদামে ঢোকানো হচ্ছিল।

সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত রৌমারী খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোর্শেদ আলম জানান, তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার কথা শুনেছেন। এখন পর্যন্ত চিঠি পাননি বলে জানালেও এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।

রৌমারী খাদ্যগুদামের অতিরিক্ত দায়িত্ব পাওয়া রাজিবপুর উপজেলার খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, অতিরিক্ত দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়েছে। দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: আব্দুস সালাম জানান, তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় রৌমারী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোর্শেদ আলমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন আইনানুযায়ী তার বিরুদ্ধে অন্যান্য বিভাগীয় ব্যবস্থা প্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।