নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ধর্ষণ করতে গিয়ে নিজের পুরুষাঙ্গ হারিয়েছেন শাহ আলম নামে এক যুবক। যদিও শাহ আলমের দাবি, শত্রুতার জেরে কৌশলে ডেকে নিয়ে তার সঙ্গে এমন কাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
এ ঘটনায় শনিবার সোনারগাঁও থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। এর আগে, শুক্রবার রাতে উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়নের দৌলরদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শাহ আলম বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি দৌলরদী গ্রামের মোস্তফা মিয়ার ছেলে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, ব্যবসার কাজে বাড়ির বাইরে থাকেন তার স্বামী। এ সুযোগে তাকে দীর্ঘদিন ধরে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিলেন প্রতিবেশী শাহ আলম। বিষয়টি নিয়ে শাহ আলমকে বারবার সতর্ক করেন তিনি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।
শুক্রবার রাতে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হন তিনি। এ সুযোগে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা শাহ আলম তার ঘরে ঢোকেন। এরপর তিনি ঘরে ঢুকতেই জাপটে ধরেন শাহ আলম। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে চিৎকার দেন। পরে শাহ আলমকে ধরে বেঁধে ফেলেন তার মেয়ে ও জামাই। এরপর ব্লেড দিয়ে তার পুরুষাঙ্গ কাটা হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে শাহ আলম জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে একা পেয়ে কৌশলে ডেকে নিয়ে তাকে বেঁধে পুরুষাঙ্গ কেটে দেন ওই গৃহবধূ ও তার লোকজন।
সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম শফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় অভিযোগ নেয়া হয়েছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে।