পরকীয়ার অভিযোগ এনে স্বামীর লিঙ্গ (বিশেষ অঙ্গ) কেটে নিয়ে পালিয়ে গেছেন স্ত্রী। পরে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সোমবার গভীর রাতে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মিঠাপুকুর থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, মাগুরা জেলার রাহেনা বেগম নামে এক নারীর সঙ্গে মোবাইলে সম্পর্ক গড়ে উঠে ট্রাকের হেলপার রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার দমদমা শিমুলপাড়া গ্রামের সোলাইমানের। দুই বছর আগে মাগুরা জেলার ওই নারীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সোলাইমান।
বিয়ের এক বছর পর সোলাইমান তার স্ত্রীকে গ্রামের বাড়ি মিঠাপুকুরে নিয়ে এসে বসবাস শুরু করেন। রাহেনা বেগম স্বামী সোলাইমানের পরকীয়া নিয়ে সন্দেহ করতে থাকেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো।
একপর্যায়ে সোমবার রাতের খাওয়া শেষে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে রাহেনা বেগম তার স্বামী সোলাইমান মিয়ার ‘বিশেষ অঙ্গ’ কেটে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের সদস্য রাজু আহম্মেদ জানান, ওই নারী একটি চিঠি লিখে গিয়েছেন। সেখানে তার সংসার নষ্টের জন্য স্বামী সোলাইমানকে দায়ী করেছেন। সোলাইমানের মোবাইলে একাধিক মেয়ের সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেন।
ওসি আরো জানান, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পলাতক রেহেনা বেগমকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।