চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেম হত্যা মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে মিরসরাই থানা পুলিশ। গত সোমবার দিবাগত রাতে এবং গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার (০২ ফেব্রুয়ারি) এ চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ফাহাদ ও মীর হোসেন ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছে থানা পুলিশ।

নিজের নাম ও পদবী প্রকাশ না করা শর্তে মিরসরাই থানার উপ-পরিদর্শক পদমর্যাদার একজন পুলিশ কর্মকর্তা বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার নাগাদ জানান, এদের চারজনের মধ্যে দুইজন সরাসরি হত্যাকান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলো। বাকি দু’জনেরও প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা ছিল।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের মধ্যে দুইজন ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কথা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে দাবি করে ওই কর্মকর্তা আরো জানান, গত ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে স্থানীয় শাহেরখালী খালের পাশে ওঁত পেতে ছিলো এজাহারভূক্ত আসামি মো. ফাহাদ হোসেন ও অজ্ঞাত নামা আসামিদের মধ্যে মীর হোসেন। তারা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার নাগাদ একটি কাটিং কাঁচি দিয়ে প্রথমে আঘাত করে সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেমের মাথায়। পরে আবুল কাশেম ফাহাদকে ছিনে ফেললে দুইজনে ধরে খালের পাশে কাদায় নিয়ে তার পেটের ভেতর সজোরে কাটিং কাঁচিটি ঢুকিয়ে দেয়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে একাধিকবার আঘাত করে। শেষে মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে জেনে খালের পাশে কাদার মধ্যে তাকে ফেলে চলে যায়।

মিরসরাই থানার সেকেন্ড অফিসার (উপ-পরিদর্শক) রাজিব পোদ্দার জানান, শাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আবুল কাশেম হত্যা মামলায় মো. ফাহাদ হোসেন (২০), মো. সিরাজুল ইসলাম (৫৫), নজরুল ইসলাম (৩০) ও মীর হোসেন (২০) নামে ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করে বুধবার আদালতে তোলা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১০টায় উপজেলার শাহেরখালী খালের কাদামাটি থেকে ছুরিকাহত অবস্থায় সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেমের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপর গত সোমবার আবুল কাশেমের স্ত্রী বাদী হয়ে মিরসরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরদিন মঙ্গলবার ভোর বেলায় চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল কাশেম মারা যান।

এসকেএইচ//