• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২, ১১:৫৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২, ২০২২, ১১:৫৮ পিএম

গ্রাহকের ৫ কোটি টাকা নিয়ে উধাও সমিতি পরিচালক

গ্রাহকের ৫ কোটি টাকা নিয়ে উধাও সমিতি পরিচালক
ছবি- জাগরণ

মেহেরপুরের গাংনীতে স্বর্ণালী সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেডের পরিচালক মাহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। লগ্নিকৃত টাকা ফেরত পেতে ভুক্তভোগীরা প্রশাসন সহ সমাজপতিতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। মাহিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক টাকা ফেরতের দাবি ভুক্তভোগীদের।

গাংনী উপজেলার পুরাতন মটমুড়া গ্রামের মাহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালে কাথুলী ইউনিয়নের গাড়াবাড়িয়া বাজারে স্বর্ণালী সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেড নামের একটি সংস্থা চালু করে। ১ লাখ টাকায় প্রতি মাসে ১৬শত টাকা লাভ দেয়ার প্রতিশ্রতিতে এ এলাকার অন্তত ২ শতাধিক নারী পুরুষের কাছ থেকে অন্তত ৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেছে। মাহিরুলের শশুর কাথুলী গ্রামের সুরাফ আলীর বাড়িতে থেকে তিনি ঋণ দান ও লাভ দেয়ার নামে প্রতারণা শুরু করে।

বুধবার (০২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গ্রাহকরা তাদের লগ্নিকৃত টাকা ফেরত আনতে গেলে অফিসে তালাবদ্ধ দেখতে পায় গ্রাহকরা। গ্রাহকরা অফিসের পাশে অবস্থান নিচ্ছে এমন পরিস্থিতি বুঝতে পেরে মাহিরুল সহ তার কর্মীরা আগেই পালিয়ে যায়। এদিকে লগ্নিকৃত টাকা ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন করে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। তাদের দাবি মাহিরুলকে খুঁজে বের করে লগ্নিকৃত টাকা ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি তার প্রতারণার দায়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।  

ভুক্তভোগী গাড়াবাড়িয়া গ্রামের ফড়ি শেখের স্ত্রী সামচ্ছুন্নাহার বলেন, তিনি ৪ লাখ টাকা রেখেছিলেন। সংসারের আর্থিক সচ্ছলতার জন্য। কিন্তু লগ্নিকৃত টাকা নিয়ে সংস্থার পরিচালক মাহিরুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। একই গ্রামের আনারুল ইসলাম বলেন, ৩ লাখ টাকা লগ্নী করেছিলেন। লাভ তো দূরের কথা মূল টাকাও ফেরত পাচ্ছেন না তিনি। গাড়াবাড়িয়া গ্রামের অন্ধ বায়েজিদ হোসেন বলেন, তিনি ৪ লাখ টাকা রেখেছিলেন। কিন্তু সে টাকা তুলতে গিয়ে জানতে পারেন সংস্থার পরিচালক মাহিরুল অফিসে তালা মেরে পালিয়ে গেছেন।

 এ বিষয়ে কথা বলার জন্য স্বর্ণালী সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেডের পরিচালক মাহিরুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। স্বর্ণালী সঞ্চয় ঋণদান সমবায় সমিতি লিমিটেডের মাঠকর্মী সাহারুল ইসলাম বলেন, তিনি মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সংস্থার পরিচালক মাহিরুল ইসলাম সব লেনদেন করতেন। এখন মাহিরুলকে তারা খুঁজে পাচ্ছেন না। 

সিংক গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি খানম বলেন, ভুক্তভোগীরা টাকা আত্মসাতের বিষয়ে লিখিত কিংবা মৌখিক কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

এসকেএইচ//