হাজীগঞ্জে চার ফসলী মাঠের প্রায় দুই হাজার কৃষক ইরি-বোরো চাষাবাদ নিয়ে হঠাৎ দুশ্চিন্তায় পড়েছে। কৃষকেরা হাজীগঞ্জ উপজেলার ১১ নং হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের পাতানিশ ও তার আশপাশের দশটি গ্রামের বাসিন্দা।
সরজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বিগত বছরে পানি সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার সোহেল পাটোয়ারী এবার হঠাৎ করে সেচ প্রকল্পটি পরিচালনা করতে অপারগতা জানান। ইতোমধ্যে কৃষকেরা ইরি-বোরো চাষের জন্য বীজতলায় ধানের চারা ও জমি প্রস্ততি সম্পন্ন করেছে। সোহেল পাটোয়ারীর একগুঁয়েমীতে পানি সংকটে প্রায় ৫শ হেক্টর ফসিল জমি অনিশ্চয়তায় পড়ে।
পাতানিশ এলাকার কৃষক ও স্থনীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন, ফারুক হোসেন, বিল্লাল হোসেন, আবদুল কুদ্দুস মুন্সী কৃষি ও সেচ প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দ্রুত সেচ প্রকল্প চালুর ব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানান।
পানি সেচের সংকটে পড়া পাতানিশ পূর্ব মাঠ। ওই মাঠের পাতানিশ, ধড্ডা, নোয়াপাড়া, সাদিপুরা চাঁদপুর, পদুয়া, পূর্ব কালচোঁ গ্রামের মোট ৫'শ কৃষকের সাড়ে তিনশ একর জমি। পাতানিশ দক্ষিণ-পশ্চিম মাঠের সাড়াশিয়া, নিশ্চিন্তপুর ও পাতানিশ এলাকার ৬৫ একর জমি। পাতানিশ দক্ষিণ মাঠে কাঁঠালী ও পাতানিশ এলাকায় ২৫ একরসহ পাতানিশ উত্তর মাঠে পাতানিশ-ধড্ডা এলাকায় ২০ একর ইরি-বোরো চাষাবাদ ব্যাহত হবার আশংকা দেখা দিয়েছে।
পাতানিশ এলাকার ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম সবুজ বলেন, পাতানিশের চারপাশের ফসলী মাঠে সেচ প্রকল্প কার্যক্রম স্থবির হওয়ায় কৃষকেরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ চান তিনি।
জানতে চাইলে সোহেল পাটোয়ারী মুঠোফোনে চলতি বছর সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন না বলে নিশ্চিত করেন। তবে কি কারণে হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত না স্পষ্ট করেননি তিনি।
কৃষি ফিল্ড অফিসার কামাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, সোহেল পাটোয়ারীর সাথে কথা বলে কোন সঠিক সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। সেচ প্রকল্প চালু না হলে কৃষকদের বড় ক্ষতি হয়ে যাবে।
জানতে চাইলে হাজীগঞ্জ উপজেলা সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মামুন হোসেন বলেন, সেচ প্রকল্প ম্যানেজার সোহেল পাটোয়ারী। সে সেচ প্রকল্প নিয়ে অব্যাহতিপত্র দেয়নি। এখন যথাসময়ে সেচ প্রকল্প চালু না করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতবারের চেয়ে এবার হাজীগঞ্জে উপজেলায় সেচ প্রকল্প বেশি। হাজীগঞ্জে বড় সাতটা সেচ প্রকল্পসহ মোট ২৫টা সেচ প্রকল্প রয়েছে।
দৈনিক জাগরণ/আরকে