• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২, ০৬:৫১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২, ০৬:৫১ পিএম

বেনাপোলে চতুর্থ দিনেও আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

বেনাপোলে চতুর্থ দিনেও আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

চতুর্থ দিনেও বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে কলকাতায় শুল্ক দপ্তরের সঙ্গে সিএন্ডএফ এজেন্ট ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মূখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবান্ন অফিসে সরকারের মন্ত্রী এবং সরকারি কর্মকর্তারা পৃথক বৈঠক করলেও কোন ফল হয়নি। বার বার এই বিষয়ে আলোচনা করে কোনও ফল হয়নি বলে অভিযোগ আমদানি-রপ্তানি কারকদের। ফলে দু’দেশের বন্দর এলাকায় আটকা পড়েছে প্রায় দেড় হাজার পণ্যবাহী ট্রাক। 

বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস, পণ্য উঠানামা ও শুল্কভবনের সকল কাজকর্মসহ দু’দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিএন্ডএফ এজেন্টরা পেট্রাপোলের বাকি সংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে নিয়ে বৈঠকে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন এই আন্দোলন চলবে নাকি কর্মবিরতি থেকে সরে দাঁড়িয়ে ফের চালু করবেন আমদানি-রপ্তানির কাজ। এদিনের বৈঠকের পর কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা আজই জানিয়ে দেওয়া হবে শুল্ক দপ্তরকেও।

পেট্রাপোল আমদানি-রপ্তানি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দে জানান, টানা চার দিনে পড়ল আন্দোলন। পেট্রাপোল বন্দর বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছে সীমান্ত বাণিজ্য। আমরা চাই দ্রুত এর সমাধান করে ফের কাজের গতি আসুক বন্দরে। আজকের বৈঠকের ফল কি হয় তা দেখার জন্যও মুখিয়ে আছে আন্দোলনকারীরা।

তিনি জানান, ভারতীয় বিএসএফ ও পেট্রাপোল ল্যান্ড পোর্ট অথোরিটির হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, পেট্রাপোল আমদানি-রফতানি অ্যাসোসিয়েশন, সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন, বনগাঁ গুডস ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন, বনগাঁ নব ট্রাক মালিক সমিতি, বনগাঁ মোটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, সীমান্ত পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনসহ ৮টি সংগঠন সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দেয়।

পেট্রাপোল সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনে সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) শুল্ক দপ্তরের সঙ্গে কলকাতায় দীর্ঘ সময় ধরে চলা বৈঠকে সিএন্ডএফ এজেন্টরা তাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে শুল্ক দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদেরকে তাদের দাবি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানান। তবে কোন সবুজ সংকেত এখনও পর্যন্ত মেলেনি বা সেখান থেকে কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। আমদানি-রপ্তানি কাজে বন্দর অভ্যন্তরে প্রবেশসহ নানা হয়রানি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

বেনাপোল বন্দরের পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে ধর্মঘটের কারণে বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনের মতো বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে তারা বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসার জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। বন্ধ থাকলেও বেনাপোল বন্দরে পণ্য খালাস, পণ্য উঠানামা, শুল্কভবনের কাজকর্ম ও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।

 

দৈনিক জাগরণ/আরকে