সাভারে পারিবারিক কলহের জেরে সুতা কাটার বিশেষ অস্ত্র দিয়ে সালমা নামে বড় সতিনের চোখ তুলে নিয়েছেন নুরন্নেছা নামের ছোট সতিন। এ ঘটনায় সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সালমা বেগম।
শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে চোখে মারাত্মক ক্ষত নিয়ে চিকিৎসাধীন থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনাম মেডিকেল কলেজের ডিউটি ম্যানেজার ইউসুফ আলী। এ ঘটনায় অভিযুক্ত নুরন্নেছার বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। তিনি মোতালেব হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী।
ভুক্তভোগী সালমা বরিশাল জেলার হিজলা থানার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় ১৮ বছর আগে সাভারের পাট ব্যবসায়ী মোতালেব হোসেনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তিনি সাভারের গেন্ডার ছাপড়া মসজিদ এলাকার আহম্মদ আলীর বাড়িতে ভাড়া থেকে আল মুসলিম পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
ভুক্তভোগী সালমা বলেন, মোতালেব হোসেনের আমি প্রথম স্ত্রী। আমার সঙ্গে তার সংসার প্রায় ১৮ বছর ধরে। তবে দুই তিন বছর আগে আমার স্বামী মোতালেব আবারও নুরন্নেছাকে বিয়ে করেন। আমি ১২ বছর ধরে পোশাক কারখানায় চাকরি করে সংসারের কাজে লাগিয়েছি। প্রেগন্যান্সির ৬০ হাজার টাকাও আমি সংসারে দিয়েছি। আর নুরন্নেছা বাসায় বসে বসে খেয়েছে। তবুও আমি কিছু বলি নাই। গতকাল কারখানা থেকে বের হতেই নুরন্নেছা আমার সামনে এসে বলে তুই আমার স্বামীর দোকানে যাবি না। এই কথা বলেই কাটার দিয়ে আমার চোখে আঘাত করে। এ সময় আমি মাটিতে লুটিয়ে পরলে সারা শরীরে আঘাত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান।
ভুক্তভোগীর ভাই আল-আমীন বলেন, আমার বড় বোনকে মারধর করে তার সতিন চোখ তুলে নিয়েছেন। চোখটা ড্যামেজ হয়ে গেছে। পরে সারা শরীরে মারধর করেছেন। একটু সুস্থ হলেই থানায় অভিযোগ দায়ের করবো।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোমিনুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা জানা নেই। কেউ অভিযোগও করেনি। তবে অভিযোগ দায়ের হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউএম