• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২২, ০২:৩৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২২, ০২:৩৮ পিএম

বীরগঞ্জে আম মুকুলের গন্ধ

বীরগঞ্জে আম মুকুলের গন্ধ

প্রদীপ রায় জিতু, বীরগঞ্জ প্রতিনিধি
মাঘের হিমেল হওয়ায় সবুজ পাতার ফাঁকে দোল খায় আমের মুকুল। বীরগঞ্জ উপজেলায় আম গাছে মুকুলের দেখা মিলছে। মুকুলের ভারে নুয়ে পরার উপক্রম প্রতিটি গাছ। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বারোমাসি ও দেশি জাতের আম গাছে এই মুকুল দেখা দেয়। সারি বদ্ধ গাছে আমের মুকুল যেন সভা ছরাচ্ছে নিজেস্ব মহিমায়। বাতাশে মিশে গেছে মিষ্টি গন্ধ, যে গন্ধ মানুষের মন মাদকতা এনে দেয়। জানান দেয় মধুমাসের আগমনি বার্তা।

আমচাষি ও বাগান মালিকরা জানান, উপজেলায় বিভিন্ন এলাকা জুড়ে শীতের তীব্রতা বিরাজ করলেও আগাম জাতের সব আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। পৌষের মাঝামাঝিতেই গাছে মুকুল আসার লক্ষণ দেখা গিয়েছিল। মাঘের শুরুতেই মুকুল বের হয়েছে, এ কারণে বাগানে পরিচর্যা বাড়িয়েছেন।

সারাদেশে রয়েছে ২৫০ জাতের আম। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ফজলি, গোপালভোগ, মোহনভোগ, ন্যাংড়া, ক্ষিরসাপাত, হিমসাগর, কৃষাণভোগ, মলিস্নকা, লক্ষণা, আম্রপলি, দুধসর, দুধকলম, বিন্দাবনী, আরজান, রাণী পসন, মিশ্রীদানা, সিঁন্দুরী, আশ্বিনাসহ নানা প্রকার গুটি আম। 

ডিসেম্বরের শেষ দিক থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময় অবধি বারোমাসি বা লোকাল জাতের আম গাছে মুকুল আসা দেখা যায় । ফেব্রুয়ারি মাসেই মূলত আম গাছে মুকুল আসা শুরু হয়। শীতের তীব্রতা, তাপমাত্রা ও ঘন কুয়াশার কারণে গাছের মুকুল নষ্ট হতে পারে। প্রস্তুতি নিচ্ছে আম ভালোবাসি মানুষ ও আম চাষিরা । 

আশা করা যায়, আবহওয়া অনুকুল থাকলে এ জেলায় আমের বাম্পার ফলন হবে। ঘন কুয়াশার কবলে না পড়লে, এসব মুকুলে ভালো আম হবে। তবে মাঘের শেষ দিকে যেসব গাছে মুকুল আসে, তাতে আরও বেশি ফলন হয় বলে আশা করা যায় ।