নরসিংদীর ঘোড়াশালে স্বামীর সাথে রেললাইনে ঘুরতে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধুর মামলায় দুই আসামির একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নরসিংদীর অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নরসিংদী রেওলয়ে ফাড়ির ইনচার্জ ইমায়েদুল জাহেদী জানান, তিন দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত দুই আসামির একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
রিমান্ডপ্রাপ্তরা হলো, ঘোড়াশাল পৌর এলাকার টেঙ্গরপাড়া এলাকার শাহ আলমের ছেলে রাজিব (২৮) ও চামড়াবো এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে রিফাত (২৪)।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঘোড়াশাল রেলস্টেশনে স্বামীর সাথে ঘুড়তে এসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন ওই গৃহবধূ। এ ঘটনায় পরদিন রবিবার নির্যাতনের শিকার গৃহবধুর স্বামী ভৈরব রেলওয়ে থানায় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলো-ঘোড়াশাল পৌর এলাকার টেঙ্গরপাড়া এলাকার শাহ আলমের ছেলে রাজিব (২৮), চামড়াবো বাজার এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে রিফাত (২৪) এবং ওপেনার (৩০) নামের এক ব্যক্তি। ওপেনার বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশ একাধিক জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে।
পুলিশ জানায়, রবিবার সকালে গ্রেপ্তারকৃত দুই ধর্ষককে রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শনিবার ছুটির দিনে ঘোড়াশাল ফ্ল্যাগ স্টেশনে কর্মজীবী স্বামী-স্ত্রী মিলে ঘুরতে যান। এসময় স্টেশনে ঝালমুড়ি কিনে খাওয়ার সময় তিন ব্যক্তি তাদের পরিচয় ও সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চান। পরে যাচাইয়ের নামে দুজনকে নির্জন স্থানে যেতে বলেন। তাদের কথায় অস্বীকৃতি জানালে স্বামীকে মারধর করা হয়। পরে স্টেশন থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে টান ঘোড়াশাল স্টেশনের কাছাকাছি একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করা হয়।
এদিকে গৃহবধূর স্বামী তার স্ত্রীকে রক্ষার জন্য স্থানীয় কয়েক ব্যক্তির কাছে সহযোগিতা চেয়েও পাওয়া যায়নি।
পুলিশ আরো জানায়, ওই গৃহবধূ পলাশে একটি জুট মিলে চাকরি করেন। তার স্বামী চট্টগ্রামে থাকেন।
ধর্ষিতার স্বামী জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছুটি পেয়ে ঘোড়াশালে স্ত্রীর বাসায় আসেন। বিকেলে ঘোড়াশাল রেলস্টেশন এলাকায় ঘুরতে বের হলে কয়েকজন বখাটে তাদের পরিচয় জানার ভান করে জোরপূর্বক তাদের আটক করে। এসময় কৌশলে ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে উদ্ধার করে।
জাগরণ/আরকে