• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২, ০৬:০৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২২, ০৬:০৪ পিএম

পাহাড়ে সেনাবাহিনী হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

পাহাড়ে সেনাবাহিনী হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

লামা প্রতিনিধি
বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় নিরাপত্তায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর টহল দলের উপর আঞ্চলিক সংগঠন জন সংহতি সমিতির (জেএসএস) স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানসহ নিরীহ মানুষ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সভা করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদসহ স্থানীয়রা। 

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ সম্মুখ সড়কে এ বিক্ষোভ ও সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মো. মুজিবুর রহমান, যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন, প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক ও বান্দরবান জেলা কমিটির সহ-সভাপতি এম রুহুল আমিন, উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ নেতা মিজানুর রহমান আখন্দ, আবুল হোসেন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। 

বক্তব্যে নেতারা বলেন, বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) বান্দরবান রুমা উপজেলার বথি ত্রিপুরা পাড়ায় সেনাবাহিনীর নিয়মিত একটি টহল দলের উপর জেএসএস সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষন করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন সেনা সদস্য নিহত ও এক জন আহত হয়। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপর হামলাকারী সংগঠন জেএসএস’র সভাপতি সন্তু লারমাকে পার্বত্য জেলায় অবাঞ্চিত ঘোষনা করে এবং তার গাড়ি থেকে জাতীয় পতাকা নামিয়ে তাকে আইনের আওতায় এনে অতীতের সব সেনাবাহিনী, পুলিশ ও স্থানীয় বাঙ্গালী হত্যার বিচারের দাবী জানান। 

এ সময় বক্তারা সরকারের কাছে দাবী তুলে বলেন,পার্বত্য এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ক্যাম্প বৃদ্ধি ও পুন:স্থাপনসহ সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাবকে সকল সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি ও উন্নত সরঞ্জাম প্রদান করে আরও শক্তিশালী করতে হবে। উন্নয়ন বোর্ডসহ পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ ও জেলা পরিষদ সমূহে সেনা কর্মকর্তাদেরকে প্রেষণে নিয়োগ দিতে হবে। শিক্ষা, চাকুরীসহ সকলক্ষেত্রে বৈষম্যহীন বন্টন ও নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। 

প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- পিসিএনপি’র  বান্দরবান জেলা তথ্য ও প্রচার সম্পাদক কাজী ইকবাল মাহমুদ, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ জালাল, পৌর সভাপতি সামছুল ইসলাম সামু, ছাত্র নেতা আসিফ ইকবাল ও জেলা উপজেলার নেতৃবৃন্দসহ শত শত নারী পুরুষ। একই দিন বিকেলে পাশের আলীকদম উপজেলায়ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। দুই সহস্রাধিক নারী-পুরুষ এ প্রতিবাদ সভায় অংশ গ্রহণ করেন বলে জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি মো. আবুল কালাম। 

জাগরণ/আরকে