ষষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার আকুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার টাকার বিনিময়ে ভোটে জিতিয়ে দেয়ার নাম করে এক সদস্য প্রার্থী থেকে অর্থ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থী আনোয়ার হোসেন জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে নিজেদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তারা।
আনোয়ার হোসেনের অভিযোগ, হিরাকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নারায়ণ চন্দ্র ভৌমিক প্রতিদ্বন্দ্বী ফুটবল মার্কার আবুল কাশেমের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। যার ফলে, সে ওই বিদ্যালয় কেন্দ্রের এক, তিন ও চার নং বুথের পোলিং অফিসারদের নিয়ে সাধারণ নিরক্ষর ভোটারদের ইভিএম মেশিনের বাটন চেপে দেন। এভাবে একশ’ ভোট ফুটবল মার্কায় দিয়েছেন বলে তার এক ঘনিষ্ঠ লোকের সঙ্গে মুঠোফোনে স্বীকারও করেন নারায়ণ চন্দ্র ভৌমিক। তাই ভোট কারচুপির বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মোবাইলের কল রেকর্ডসহ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
ফুটবল মার্কার বিজয়ী মেম্বার আবুল কাশেম ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, হিরাকাশী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নারায়ণ চন্দ্র ভৌমিকের সঙ্গে কোনো প্রকার লেনদেন হয়নি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণ চন্দ্র ভৌমিক বলেন, পরাজিত মেম্বার প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন তা অসত্য। মেম্বার আবুল কাশেমের কাছ থেকে আমি কোনো প্রকার সুবিধা নেই নাই।
কুমিল্লা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মঞ্জুরুল আলম বলেন, যথাযথ উপযুক্ত প্রমাণ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জাগরণ/আরকে