
বরিশালে চাচা-ভাতিজাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত ভোজন প্রতিযোগিতায় ভাতিজারা জয়ী হয়েছেন।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে নগরীর ভাটিখানা এলাকার শরীফবাড়িতে ব্যতিক্রমী এ আয়োজন করা হয়।
রাত ১০টায় রান্না শেষ হলে শুরু হয় এই প্রতিযোগিতা। এলাকার ২০ জন করে চাচা ও ভাতিজার দুটি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ভাতিজা প্রতিযোগীদের বয়স ছিল ২৫ বছরের মধ্যে। আর চাচাদের বয়স ৫৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। দুই দলের জন্য বরাদ্দ ছিল ৪০ কেজি করে দুই ডেক খিচুড়ি আর ১৫ কেজি করে গরুর মাংস।
প্রতিযোগিতায় নির্ধারিত ৭৫ মিনিটে মধ্যে ভাতিজা দলের ২০ জন মিলে ৩৮ কেজি খিচুড়ি ও ১৫ কেজি গরু মাংস খেয়ে বিজয়ী হন তারা। তবে চাচারাও এ দৌড়ে পিছিয়ে ছিলেন না। একই সময়ের মধ্যে তারা খেয়েছেন ৩২ কেজি খিচুড়ি ও ১৫ কেজি গরুর মাংস।
প্রতিযোগিতায় চাচা দলের নেতৃত্ব দেন টুনু শরীফ। আর ভাতিজা দলের নেতৃত্ব দেন সাইফুল ইসলাম।
টুনু শরীফ বলেন, এখানে হার-জিত মূল বিষয় নয়। করোনাকালে সবকিছুই প্রাণহীন হয়ে গেছে। তাই এ রকম সময়ে সবার মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে ব্যতিক্রমী এই আয়োজন করা হয়েছে।
ব্যতিক্রমী এই আয়োজন দেখতে নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা সেখানে ভিড় জমান। তারাও এই ভোজনে আপ্যায়িত হয়েছেন। রাত ১১টায় প্রতিযোগিতা শেষে ভাতিজাদের চ্যাম্পিয়ন ক্রেস্ট ও চাচা দলের হাতে রানার্সআপ ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার আতিকুর রহমান, বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন, বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ হাবিবুর রহমান, ব্যবসায়ী বিষু ঘোষ প্রমুখ।
জাগরণ/আরকে