
আদালতের নির্দেশ আমান্য করায় পাবনা জেলা পুলিশের আমিনপুর থানার ওসির রওশন আলীর বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে কেন শাস্তি দেয়া যাবে না তা জানাতেও কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমান এই আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় ২০১৮ সালে ৬ আগস্ট নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন নিয়ে ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এক যুবককে আটক করে মামলা দায়ের করেন ওসি রওশন আলী। পরে সে মামলাটি রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে স্থানান্তর করা হয়।
আদালতের আইনজীবী ইসমত আরা জানান, মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আদালত সাক্ষীদের তলব করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এবং অন্যান্য সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলেও ইনফরমেন্ট সাক্ষী হিসেবে আমিনপুর থানার ওসি রওশন আলী কোন কারণ উল্লেখ ছাড়াই পর পর ছয়বার (২০২১ সালে ৪ বার এবং ২০২২ সালে ২ বার) আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
এরপর আদালত স্বেছায় প্রণোদিত হয়ে তার মোবাইলের হটস এ্যাপে আদালতের সমনের ছবি পাঠান। তিনি তাতেও কোন উত্তর না করে ইচ্ছাপূর্বক সাক্ষ্য দানে বিরত থাকেন। ফলে মামলার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হবার পাশাপাশি মামলাটি নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হচ্ছে। এর আগেও ওসি রওশন আলী সাইবার ট্রাইব্যুনালের আরেকটি মামলায় আদালতের সমন অবজ্ঞার করে এবং পরে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
ইসমত আরা বলেন, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আদালতের সমন বা প্রসেসকে ইচ্ছা পূর্বক প্রত্যাখ্যান করে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ধারা মতে অপরাধ করায় আদালত তার অপরাধ আমলে নিয়ে ওসি রওশন আলীর বিরুদ্ধে পৃথক মিস মামলা খোলার আদেশ দেন। সেই সাথে আদালতের নির্দেশ মত সাক্ষ্য প্রদানে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ধারার বিধানে কেন সাক্ষী রওশন আলীকে শাস্তি প্রদান করা হবে না সেই মর্মে আগামী ধার্য্য তারিখের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন আদালত।
এ বিষয়ে জানতে আমিনপুর থানার ওসি রওশন আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি অবশ্যই আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু সঠিক সময়ে সমন না পেলে কি করে আদালতে উপস্থিত হবো। তবে এর আগে আরেকটি মামলায় একই ভাবে আদালতের আদেশ অবমাননা এবং লিখিতভাবে ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন ওসি রওশন আলী।
জাগরণ/আরকে