এসডি দোহা, পাটগ্রাম প্রতিনিধি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা সফরকালে লালমনিরহাট জেলার দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে বুড়িমারী-ঢাকাগামী আন্তনগর ট্রেন তিনবিঘা এক্সপ্রেস চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ২২ মার্চ বুড়িমারী স্থলবন্দর পরিদর্শনে আসেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। সে সময় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ২০১৯ সালের মধ্যে চালু হবে নৈশ্যকালীন আন্তনগর তিনবিঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটি। কিন্তু প্রতিশ্রুতির ১০ বছরেও ট্রেনটি চালু না হওয়ায় নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনসাধারণের মনে।
বুড়িমারী-ঢাকা রুটে তিনবিঘা এক্সপ্রেস চালুর দাবিতে ইতিপূর্বে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার ফোরামের ব্যানারে আন্দোলন হলেও তাতে কোন সফলতা আসেনি।
জানা যায়, তিনবিঘা এক্সপ্রেস বাস্তবায়ন কমিটি লালমনিরহাট জেলার সব উপজেলায় এটি চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে কর্মসূচী পালন করবে।
এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য, সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মোতাহার হোসেন, স্থানীয় সাধারণ মানুষের দাবির সাথে সহমত পোষণ করে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনবিঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু করার জোর দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি তিনবিঘা এক্সপ্রেস চালুর বিষয়ে রেলমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন।
এব্যাপারে নাগরিক অধিকার ফোরাম ও তিনবিঘা এক্সপ্রেস বাস্তবায়ন কমিটির পাটগ্রাম উপজেলা আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান মানিক বলেন, বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে লালমনিরহাট হয়ে ঢাকাগামী একটি আন্তনগর ট্রেন চালু হোক যা ছিল দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি। যেহেতু জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, অবহেলিত লালমনিরহাটের জনগোষ্ঠীর কষ্ট দুর করতে বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে সরাসরি ঢাকাগামী তিনবিঘা এক্সপ্রেস চালু করবেন। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, তিনবিঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু হলে ওই এলাকার মানুষের যাত্রাপথে জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এতে করে সরকারের বৃহত্তর রংপুর বিভাগের উন্নয়নের আরেকটি পথ উন্মোচিত হবে বলে মনে করি। বিশেষ করে লালমনিরহাট জেলা থেকে প্রায় ৮৬ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ৬নং সেক্টর হেডকোয়ার্টার এখানেই অবস্থিত।
তবে অবিলম্বে ট্রেনটি চালু করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে ঘোষণা আসে তিনবিঘা এক্সপ্রেস বাস্তবায়ন কমিটি থেকে। ইতিমধ্যে ট্রেনটি চালুর দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন প্রধানমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেছে বলেও জানা গেছে।
জাগরণ/আরকে