লালমনিরহাটে প্রায় ১৫ মিনিটের হঠাৎ শিলাবৃষ্টিতে কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫ টায় জেলা সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যায় ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি।

জানা গেছে, লালমনিহাটের ৫ উপজেলায় সোমবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি। সারাদিন ছিল কনকনে শীত আর হিমেল হাওয়া। অনেকে ঘর থেকে বের হতে পারেনি। রাস্তাঘাটে যানবাহনের সংখ্যাও ছিল কম। এমন অবস্থায় বিকালে হঠাৎ আকাশে মেঘ ও ঝড়ো হাওয়ার সাথে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় ১৫ মিনিটের শিলাবৃষ্টিতে জেলা সদরের বড়বাড়ি, আদিতমারী উপজেলার কমলাবাড়ি ও কালীগঞ্জ উপজেলা কয়েকটি ইউনিয়নে কৃষকের ক্ষেতের আলু, পেঁয়াজ, রসুন, গম, ভুট্টা, আম গাছের মুকুলের ক্ষতি হয়েছে।

কালীগঞ্জ উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এমন শিলাবৃষ্টি জীবনে দেখি নাই। আলু, পিয়াজ, তামাকের বেশি ক্ষতি হয়েছে। এই শিলাবৃষ্টিতে পাঁচ বিঘা জমির তামাক ও আলু ক্ষেত প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে । 

চলবালা ইউনিয়নের কৃষক শাহ আলী জানান, জমিতে আলু লাগাইছি, এই শিলা বৃষ্টিতে আলু অনেক ক্ষতি হল। ক্ষেতে যা ব্যয় হয়েছে সে খরচও এখন উঠবে না। 

লালমনিরহাট জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামীম আশরাফ জানান, সদর উপজেলা ও কালীগঞ্জ উপজেলাসহ বেশ কিছু স্থানে প্রচুর শিলা বৃষ্টি হয়েছে। এতে আলু, ভুট্টা, পিয়াজ, রসুন, মরিচ, তামাকসহ ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষতির পরিমাণ এখন বলা সম্ভব নয়। উপজেলা কৃষি উপ-সহকারিগণ কৃষকের ফসলের ক্ষতির পরিমানের তালিকা তৈরি করছেন। 

জাগরণ/আরকে