
মালয়েশিয়া প্রবাসী টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয়েছেন। এক কোটি টাকা মুক্তিপণ না দিলে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫ ।
অপহৃত ভিকটিম সেলিমের স্ত্রী নুর বেগম বলেন, আমার স্বামী সেলিম দীর্ঘদিন মালয়েশিয়া থাকাকালে জনৈক রোহিঙ্গা আনোয়ারের সাথে পরিচয় হয়। সেখানে সেলিমের কাছ থেকে সে ৫০০ রিঙ্গিট (মালয়েশিয়ান মুদ্রা) ধার নেন। সে পাওনা টাকা উদ্ধার করতে শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড ক্যাম্পের বেলাল মসজিদ নামে স্থানের ইটের রাস্তায় গেলে কয়েকজন তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে একটি খাদে হাত-পা বেঁধে আটকে রাখার পর মুঠোফোনের মাধ্যমে পরিবারের সাথে যোগাযোগ এক কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। অন্যথায় প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এমতাবস্থায় নিরুপায় হয়ে স্বামীকে উদ্ধারের জন্য র্যাবের শরণাপন্ন হই। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব অভিযান চালিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে চিকিৎসার পর পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেন।
র্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক ( ল এন্ড মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার মো: বিল্লাল উদ্দিন জানান, রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ১১ টার দিকে র্যাব-১৫ (সিপিসি-২) টেকনাফের হোয়াইক্যং ক্যাম্প কমান্ডার মেজর এইচএম পারভেজ আরেফিনের নেতৃত্বে চৌকষ একটি আভিযানিক দল নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড ক্যাম্পের পানির রিজার্ভ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চকরিয় পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড হালকাকারা জালিয়াপাড়ার মৃত নুরুল আলমের মালয়েশিয়া ফেরত মোহাম্মদ সেলিমকে (৪০) উদ্ধার করে।
তিনি জানান, এসময় অপহরণকারী চক্রের সদস্য নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড ক্যাম্পের এইচ ব্লকের মোহাম্মদ হোসাইনের পুত্র মোহাম্মদ আলমকে (২১) আটক করে। ঘটনাস্থল থেকে একই ব্লকের আব্দুস সালাম ওরফে লম্বা কালার পুত্র জোবায়ের (২৬), মো: সোলতানের পুত্র কালা হাসান (৩৭), মোহাম্মদ আমিনের পুত্র সাদ্দাম (১৮), জনৈক সানা উল্লাহ (২৮), ইজ্জতআলী (১৮), রফিক (২৪) পালিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার মো: বিল্লাল উদ্দিন আরো বলেন, ভিকটিমের স্ত্রী নুর বেগম মামলা করেন। গ্রেপ্তারকৃত অপহরণকারীকে টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে এবং পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জাগরণ/আরকে