• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৮ জানুয়ারি, ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২২, ০৫:৪৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ১, ২০২২, ০৫:৪৬ পিএম

বড়ই চাষে স্বপ্নপুরণ আবু সাঈদের

বড়ই চাষে স্বপ্নপুরণ আবু সাঈদের

ফারুক আহমেদ, ময়মনসিংহ

বাণিজ্যিকভাবে বড়ই চাষে সাফল্য পেয়েছেন ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার চাষি আবু সাঈদ মুশিউর রহমান। এবারও তার বাগানে বড়ইর বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর প্রায় ১২ লাখ টাকার বড়ই বিক্রির আশা করছেন তিনি। উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের সামানিয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আবু সাঈদ মুশিউর রহমান। তিনি প্রথমে 'এসএসএস ফিসারী এন্ড এগ্রোকমপ্লেক্স' নাম দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন।

পরবর্তীতে উঁচু জমিতে দুই বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন জাতের বড়ই বা কুল চাষ করছেন। চলতি বছর তিন একর জমিতে এই ফলের আবাদ করেন। তার বাগানের বড়ইগুলো দেশের বিভিন্ন বাজারে নিয়ে বিক্রি করছেন। বাগানে কাশ্মিরি, বলসুন্দরী, আপেল, বাউক, নারিকেল, থাই কুল জাতের ৮শতাধিক বড়ই গাছ রয়েছে। বড়ই বাড়ে ঝুলে গাছগুলোই মাটিতে নুয়ে পড়েছে। প্রায় প্রতি গাছে ২০ থেকে ৪০ কেজি বড়ই পাওয়া যাবে বলে জানান আবু সাঈদ।

চাষি আবু সাঈদ মুশিউর রহমান বলেন, গাছের প্রতি ভালবাসা ও ইউটিউব দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে গাছ লাগানো। ৮ শতাধিক বড়ই গাছের পরিকল্পনা করে ২ বছর আগে নিজস্ব জমিতে ৬জন শ্রমিক নিয়ে বাগান তৈরী করি। দু’বছরে বাগান পরিচর্যায় প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যায় হয়েছে। এবছরই বিক্রি শুরু হয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে ১২ লাখ টাকার বড়ই বিক্রি করা যাবে। এছাড়াও পেঁপে, পেয়ারা ও লেবু সহ বিভিন্ন ফলের গাছ রয়েছে বাগানে।

জাতীয় কৃৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র ত্রিশাল এর পরিচালক কৃষিবিদ নিতাই চন্দ্র রায় বলেন, প্রতিটি গাছে ২০ থেকে ৪০ কেজি বড়ই হবে। চাষি আবু সাঈদ তার বাগানের বড়ই বিক্রি করে প্রায় ৯ লাখ টাকা আয় করতে পারবে। তিনি বড়ই চাষে এ এলাকায় বিপ্লব ঘটিয়েছে।

স্থানীয় উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ তানিয়া রহমান বলেন, চাষি আবু সাঈদ একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তিনি দু’বছর ধরে বাণিজ্যিক ভাবে বিভিন্ন জাতের বড়ই চাষ শুরু করেছে। বাগান তৈরী থেকে পরিচর্যায় এপর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ৩ লাখ টাকা কিন্তু বড়ই বিক্রি করে পেয়েছেন ৮ লাখ টাকা। তাই চাষিদেরকে বাণিজ্যিক ভাবে চাষাবাদে ঝুকতে আহবান করেন তিনি।