সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটায় পরকীয়া সম্পর্কের জেরে স্বামীকে হত্যা মামলায় স্ত্রী ও পরকীয়া প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে নিহতের ভাই সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে আগেই আটক হওয়া দুইজনকে গ্রেফতার দেখায়।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে তালা উপজেলার রেহেনা খাতুনের বিরুদ্ধে স্বামী গোলাম হোসেনকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠে। পরে বুধবার সকালে নিহত গোলাম হোসেনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় তিনজনকে আটক করা হয়।
হত্যা মামলার আসামিরা হলেন নিহত গোলাম মোড়লের স্ত্রী রেহেনা পারভীন এবং রেহেনার পরকীয়া প্রেমিক যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. রাব্বি।
নিহতের ভাই সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, রেহেনার পরকীয়া প্রেমিক রাব্বি হোসেন তার বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছায়। নগরঘাটা ইউনিয়নের কাপাশডাঙ্গা গ্রামে মেসার্স রাকিব অটো রাইচ মিলের স্টাফ কোয়াটার হিসেবে কাজ করতেন। মাসিক ৩ হাজার টাকায় নিহত গোলাম হোসেনের বাড়িতে রেহেনা রান্না করে দিতো আর তার বাড়িতে রাব্বি তিন বেলা ভাত খেতো। সে সুবাদে পরকীয়ার জড়িয়ে পড়ে রেহেনা এবং রাব্বি। গ্রামবাসী কয়েকবার তাদের অনৈতিক সম্পর্ক ধরে ফেললেও তারা সংশোধন হয়নি।
তিনি বলেন, বুধবার রাতের কোনো এক সময় রেহেনা এবং রাব্বি অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত থাকা অবস্থায় আমার ভাই গোলাম মোড়ল দেখে ফেলেন। আর তাতেই বাধে সমস্যা। রাতের কোনো এক সময় গোলাম মোড়লকে রশি দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন রেহেনা এবং তার পরকীয়া প্রেমিক রাব্বি মিলে। পরে বুধবার ভোর রাত থেকে রেহেনা পারভীন প্রচার দিতে থাকেন তার স্বামী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। তবে এলাকাবাসীর তোপের মুখে প্রকৃত ঘটনা বের হয়ে আসে। এলাকাবাসী থানা পুলিশকে খবর দিলে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে আসামিদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
সাতক্ষীরা পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় জানান, বুধবার রাতে নিহতের ভাই সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে রেহেনা ও তার পরকীয় প্রেমিকের নামে মামলা দায়ের করেন। তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ইউএম