কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবারও দুটি ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বিকাল ৩ টা ৪৫ মিনিটের দিকে কুতুপালং ৫ নাম্বার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোচড়া এলাকায় হঠাৎ আগুন লাগে। মুহুর্তে তা পাশের ৬ নাম্বার ক্যাম্পেও ছড়িয়ে পড়ে।
কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার সামছুদ্দৌজা নয়ন জানিয়েছেন, ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়র সার্ভিসের পাশাপাশি আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীরা সহায়তা করেছে।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন ম্যানাজার ইমাদুল হক জানান, আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে, কোথা থেকে আগুন লেগেছে এ ব্যাপারে এখনো বিস্তারিত জানাতে পারেনি। প্রত্যক্ষদর্শীর মতে অগ্নিকান্ডে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ।
জানা যায়, চলতি বছর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এটি পঞ্চম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। গত ২ জানুয়ারি ২০ এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থিত ৭০ শয্যাবিশিষ্ট বিশেষায়িত হাসপাতালে আগুন লাগে। একই মাসের ৯ জানুয়ারি উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা ১৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাড়ে তিন হাজার রোহিঙ্গা পরবর্তীতে ১৭ জানুয়ারি উখিয়ার কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মধ্যরাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে যায় ৩০ ঘর।
সর্বশেষ ২৫ ফেব্রুয়ারি বালুখালী ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) চেকপোস্ট সংলগ্ন রোহিঙ্গা বসতিতে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যায় ৩৫টি ঘর ও দোকান।
আব্দুল মান্নান নামে এক রোহিঙ্গা বলেন, শুনেছি প্রথমে একটি দোকান থেকে আগুন লেগে চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। একে একে সব দোকানপাট ও বসতঘর পুড়তে থাকে।
জাগরণ/আরকে