• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২২, ০৭:০৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ৯, ২০২২, ০৭:০৭ পিএম

ফেসবুকে মন্তব্যের জেরে ২ বান্ধবীর মারামারি 

ফেসবুকে মন্তব্যের জেরে ২ বান্ধবীর মারামারি 

ফেসবুকে পরিচয় ও বন্ধুত্বের পর ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে মন্তব্যের অমিলের জেরে গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে দুই বান্ধবীর মধ্যে ধস্তাধস্তি ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজনই আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে।

আহতরা হলো- একই উপজেলার বরকাতপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে মাসতুরা রহমান মেধা ও পৌরসভার জামালপুর গ্রামের আব্দুল মোতাল্লিব সরকার বকুলের মেয়ে মোহনা আক্তার। বুধবার দুপুরে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছে ঐ দুই শিক্ষার্থী।

এর আগে, মঙ্গলবার বিকেলে পৌরশহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন বকুর চাতালে তাদের মধ্যে মারামারি ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।

আহত মাসতুরা রহমান মেধা জানায়, সে পলাশবাড়ী পৌর শহরের নুনিয়াগাড়ী গ্রামে খালা মেহেবুবা সুলতানার বাসায় থেকে পড়াশোনা করে। মোহনার সঙ্গে তার ফেসবুকে বন্ধুত্বের সূত্রে মেসেঞ্জারে যোগাযোগ হয়। তাদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিলে মোহনা আক্তার বস্তির মেয়েসহ রূঢ় ভাষায় নানা কমেন্ট করে। পাল্টাপাল্টি কমেন্টে এতে উভয়ের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

মঙ্গলবার বিকেলে মেধা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন দীপঙ্কর স্যারের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়। সে সময় মোহনা সেখানে গিয়ে প্রাইভেট রুম থেকে মেধাকে জোর করে টেনে বের করে বাইরে এনে মারপিট করে। এক পর্যায়ে আঘাত লেগে মোহনার নাক কেটে যায়।

মেধার অভিযোগ, খবর পেয়ে মোহনার বাবা মোতাল্লিব সরকার বকুল ও মা শিমুলী বেগম সেখানে উপস্থিত হয়ে মেধাকে এলোপাতারি মারপিট করে। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মেধার বাবা মোহনা ও তার বাবা-মার বিরুদ্ধে পলাশবাড়ী থানায় অভিযোগ করেছেন।

অভিযুক্ত মোহনার বাবা মোতাল্লিব সরকার বকুল বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে আমার মেয়ে মোহনার নাক কেটে গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে আমি ও আমার স্ত্রী ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি।

পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. আজমিরা জেমি জানান, মঙ্গলবার বিকেলে আহত দুই শিক্ষার্থীকে এখানে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হওয়ায় বুধবার দুপুরে তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।  

পলাশবাড়ী থানার ওসি মাসুদ রানা জানান, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। তবে মারামারির ঘটনায় অভিভাবকের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।

ইউএম