স্ত্রীর কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে না পেয়ে তাকে নির্যাতন করে চুল কেটে দিয়েছে স্বামী। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তি স্ত্রীর ছোট ভাইয়ের বউকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়েও করেছেন।
এ অভিযোগে বুধবার (৯ মার্চ) বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারী শাহিদা।
ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ মো. হাফিজুর রহমান মামলাটি গ্রহণ করে তালতলী উপজেলার তালুকদারপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সাত দিনের মধ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
তালতলী উপজেলার ছোট ভাইজোড়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে মো. ইয়ামিনের সঙ্গে একই উপজেলার দক্ষিণ সওদাগারপাড়া গ্রামের সায়েদ মিয়ার মেয়ে শাহিদার বিয়ে হয় ২০০৭ সালে। তাদের ঘরে দুই সন্তানও আছে। ইয়ামিন তার স্ত্রী শাহিদা ও তার ভাই নিজামের কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। একপর্যায়ে ইয়ামিন শ্যালক নিজামের স্ত্রী দুই সন্তানের জননীকে নিয়ে কয়েক মাস আগে উধাও হয়ে যান। পরে তাকে বিয়ে করেন।
গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে বাদীর স্বামী ইয়ামিন, তার বাবা শাহ আলম ও শ্যালকের বউ শিউলী দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন শাহিদার কাছে। শাহিদা যৌতুক দিতে অস্বীকার করলে তাকে বেধড়ক মারধর করেন। গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ইয়ামিন একটি ধারালো দা দিয়ে শাহিদার মাথার চুল কেটে দেন।
এ বিষয়ে শাহিদা বলেন, আমার স্বামী ইয়ামিন, তার বাবা ও শিউলি যৌতুক না পেয়ে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আমার শাশুড়ি আমাকে রক্ষা করেছেন। আমার স্বামী আমাকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দিয়েছে। আর আমার আপন ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে অবৈধভাবে থাকছে ইয়ামিন।
বরগুনা হাসপাতালে মঙ্গলবার চিকিৎসা নিয়ে তালতলী থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি বলেও জানান তিনি।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। মামলা করতে এলে তার মামলা নেওয়া হতো।
আসামি ইয়ামিন বলেন, শাহিদার অভিযোগ মিথ্যা। তবে শ্যালকের বউ শিউলীকে বিয়ে করেছি এবং তার সন্তানদেরও লালন-পালন করছি।