• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১০, ২০২২, ১০:৫০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ১০, ২০২২, ০৫:২৪ পিএম

মুন্সীগঞ্জের পুলিশের সোর্সকে গণধোলাই

মুন্সীগঞ্জের পুলিশের সোর্সকে গণধোলাই

মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকন্ঠ মুক্তারপুর পান্না সিনেমা হলের সামনে নৌ-পুলিশের চাঁদা আদায়কারী বরগুনার বেতাগী থানার মৃত লতিফ সিকদারের পুত্র পুলিশের সোর্স মো: বাদল সিকদারকে (৩০) গণধোলাই দিয়েছে মুক্তারপুর এলাকাবাসী।

খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে গুরুতর আহত অবস্থায় মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

বুধবার (৯ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৫টার সময় এ ঘটনাটি ঘটে।

মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পুলিশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে সন্ধ্যা ৬টার সময়। সে এখন মেডিসিন বিভাগে ভর্তি রয়েছে। তার পা, হাত, মুখসহ শরীরের সর্বত্র রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানা এলাকায় জনসাধারণ প্রায় ৩ যুগ হয় মাছ ধরার অবৈধ নিষিদ্ধ কারেন্ট জালের ব্যবসার সাথে জড়িত।
আর এই ব্যবসাকে পুঁজি করে কতিপয় বাবসায়ীদের কাছ থেকে প্রসাশনের নামে চাঁদা আদায় করে আসছিল বাদল শিকদার।

বাদল সিকদার মুক্তারপুর এলাকার কারেন্ট জাল মিল মালিকদেরকে পুলিশে ধরিয়ে মামলা দেবার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়ের জন্য যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মিল মালিকদের কর্মচারীরা পুলিশের এই সোর্স ও চাঁদাবাজ বাদলকে ধরে গনধোলাই দেয়।

মুক্তারপুরের এক মিল মালিক জানান, এলাকার অন্য মিল মালিক ওলি মুন্সী, খলিল, স্বপন, আসরাফুল, সাইফুল, আকবর হাজী মামলার ভয়ে আতঙ্কে অনেক মাস যাবত বেশ মোটা অংকের টাকা চাঁদা দিয়েছেন এই বাদল সিকদারের হাতে এবং বিকাশের মাধ্যমে।

এই বিষয় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এস আই সুকান্ত বলেন, সদর থানার ওসি সাহেবের ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি বাদল সিকদারের গনধোলাইয়ের বিষয়ে।

পরে সদর থানার পুলিশের সাথে ডিবি পুলিশও ঘটনাস্থলে গিয়ে বাদলকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে। 

মুক্তারপুরের স্থানীয় মিল মালিক ও কর্মচারিরা জানান, এলাকায় সমস্ত অবৈধ কারেন্টজাল মেইল সরকারি ভাবে বন্ধ। তার পরেও পুলিশের এই দালাল এখানে এসে এলাকাতে কখন র‌্যাব, কখনও নৌ-পুলিশ আবার থানার পুলিশের পক্ষ থেকে চাঁদার টাকা সংগ্রহ করে আসছিল। এমন কি মুক্তারপুরের সাবেক নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ  কাবির হোসেনের যত চাঁদা এই বাদল সিকদার উত্তোলন করে দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন জাল ব্যবসায়ীরা। বাদল সিকদার সারাদিন ঘুরে ঘুরে মেইল মালিকদের নাম সংগ্রহ করে পরে তাহার একাধিক বিকাশ নাম্বার দিয়ে চাঁদা উত্তোলন করেছে বলেও জাল ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। 

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবু বকর ছিদ্দিক জানান, বাদল সিকদার পুলিশের কোন সোর্স বা দালাল নয়। তার বিষয়ে কোন কিছুই জানি না। গনধোলাইয়ের বিষয়েও কোন কিছু আমাকে কেউ জানানো হয়নি। 

ডিবি পুলিশের এসআই সুকান্ত জানিয়েছেন সদর থানার ওসির তথ্য মোতাবেকই বাদল সিকদারকে উদ্ধার করা হয়।  সদর থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক কৌশলগত কারণে এ ঘটনাটি এড়িয়ে গেছেন।

জাগরণ/আরকে