লক্ষ্মীপুর কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে মধ্যরাতে ভোটের প্রস্তুতি নেয়া হয়। কিন্তু সভাপতি পদে ভোট গ্রহণ না করে সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট গ্রহণের অভিযোগ ওঠে। পরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয় হয়েছে।
বুধবার (৯ মার্চ) বিকেল ৫ টায় শুরু হওয়া সম্মেলনে দিবাগত রাত ১২টার দিকে চরকাদিরা ইউনিয়নের ফজুমিয়ার হাট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে সম্মেলনস্থলে অতিথিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতারা জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে সম্মেলনস্থল উত্তপ্ত করে তোলেন।
এ বিষয়ে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ঘটনাস্থল পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মারামারির ঘটনা ঘটেছে কি না, তারা আমাকে জানায়নি। ঘটলেও হয়তো বেশি হয়নি। তবু আমি খোঁজ নিচ্ছি।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক দুই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, নেতা-কর্মীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়েছে। আমরা তাদের বুঝিয়ে শান্ত করেছি।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী বুধবার বিকেলে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন শুরু হয়। নেতাকর্মীরা শুরু থেকে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা উপস্থিত ছিলেন। রাত বাড়তে থাকলে অধিকাংশ নেতা-কর্মী সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন। ইউনিয়নের ১৯ জন কাউন্সিলরের মধ্যে শেষ পর্যায়ে ৫ জন উপস্থিত ছিলেন। কারণ সবাই ধারণা করেছেন সম্মেলনের আলোচনা শেষে সিলেকশনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু রাত ১২টার দিকে অতিথিরা হঠাৎ ভোটের ঘোষণা দেন। এতে কাউন্সিলররা তাদের ভোট দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। কিন্তু সভাপতি পদে ভোট না নেয়ায় কথা-কাটাকাটি থেকে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা একে অন্যকে প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এতে অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিক সম্মেলনস্থল নেতাকর্মী শূন্য হয়ে পড়ে।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম নুরুল আমিন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মিজানুর রহিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল বাশার, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আবদুল মতলব, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাসেল মাহমুদ মান্না ও কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক উপকমিটির সদস্য আব্দুজ্জাহের সাজু প্রমুখ।
বক্তব্য জানতে সম্মেলনের প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মিজানুর রহিমকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জাগরণ/আরকে