• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২২, ১১:২৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ১২, ২০২২, ১১:২৩ এএম

দুমকিতে বিএনপির দুই নেতাকে কুপিয়ে জখম

দুমকিতে বিএনপির দুই নেতাকে কুপিয়ে জখম

দুমকি প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর দুমকিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডুকে বিএনপির দুই নেতাকে কুপিয়ে আহত করেছে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। 

শুক্রবার ( ১১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের কর্তিকপাশা বাজারের হাওলাদার মেডিক্যাল হলে এঘটনা ঘটে।

আহত উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো: নেছার মাহমুদ (২৭) এবং লেবুখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: সোহরাব হোসেন (৪৮) এই অভিযোগ করেছেন। তারা পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

আহত মো: নেছার মাহমুদ বলেন, কার্তিকপাশা বাজারে আমাদের ওষুধের দোকান রয়েছে। প্রতিদিনের ন্যায় শুক্রবার সকালে দোকানে যাই। সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে কোনকিছু বুঝে ওঠার আগেই যুবলীগ নেতা মো: মিজান মৃধা (৪৫), মো: ফিরোজ মৃধা (৩৫), মো: কাওসার (২২) ও মো: জাহিদসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১০/১২ জন এসে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এসময় আমাকে এবং আমার বড় ভাই মো: সোহরাব হোসেনকে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা আমাদেরকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে আসে।

তিনি আরো বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় বিএনপির আহ্বানে দুমকি উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচিসহ ও বিক্ষোভ-সমাবেশ করার কারণে আমাদেরকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। শনিবার (০৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আমার উপরে হামলা করে তারা। তখন আমি পটুয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছি। 

লেবুখালী  ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দুমকি নাসিমা কেরামত আলী বালিকা বিদ্যালয় শিক্ষক মো: সোহরাব হোসেন বলেন, আমাদেরকে কুপিয়ে দোকানের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। ওরা যাওয়ার সময় নগর টাকাসহ দোকান থেকে অনেক ওষুধ নিয়ে গেছে। 

পটুয়াখালী মেডিকেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মুনিরা আক্তার খানম জানান, দুই জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। 

এবিষয়ে জানতে চাইলে যুবলীগ নেতা মো: মিজান মৃধা বলেন, প্রথমে আমার ছোট ভাই ফিরোজ মৃধাকে চেয়ার দিয়ে পিটিয়েছে নেছার। একজনকে চেয়ার দিয়ে পিটালে সে কি চুপ করে বসে থাকবে বলেন? এঘটনায় আমার ভাই ফিরোজ ও আহত হয়েছে।  
আপনি যুবলীগের কোন পদে আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা রাজনৈতিক বিষয় না।

এবিষয়ে জানতে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।

জাগরণ/আরকে