দুমকি প্রতিনিধি
পটুয়াখালী জেলার দুমকিতে এল এ এম ইউনাইটেড মহিলা কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের দুমকি উপজেলা শাখার সভাপতি ও মানবাধিকার কর্মী মোসা: তাহেরা আলী রুমাকে অপহরণ চেষ্টা ও ছুরিকাঘাতসহ মোবাইল সেট, অলংকার ও পার্সব্যাগ নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার প্রাক্তন স্বামী সাইফুল্লাহ্ জাহান মানিক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
শনিবার (১২ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মামলা সূত্রে যায়, শনিবার দুপুর ১২ টার সময় প্রাক্তন স্বামী সাইফুল্লাহ্ জাহান মানিক (৪৫) ও তার সহযোগী আরিফুর রহমান (৩০), আল আমিন (৩৫), মোমিন মৃধা (২৯) সহ আরো অচেনা ৩/৪ জন মোসা: তাহেরা আলী রুমাকে একটি মাহিন্দ্রা যোগে এসে কলেজ গেট থেকে দুমকি উপজেলার গেটের পশ্চিম প্বার্শে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে ছুরিকাহত, এলোপাতাড়ি ঘুষি ও মারধর করে মোবাইল সেট, অলংকার ও পার্সব্যাগ নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ডাক চিৎকারে অত্র ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির মৃধা (৪৪) ও মটর সাইকেল চালক সোহাগ বয়াতী (৩৫) মোটর সাইকেল যোগে ধাওয়া করে মাহিন্দ্র গাড়ি থেকে তাহেরা আলী রুমাকে উদ্ধার করে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিস্তারিত বললে পুলিশের সহায়তা নিয়ে থানায় গিয়ে একটি এজাহার দাখিল করে মামলা করেন। বর্তমানে সে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।
এ বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী স্বাক্ষী শিরীন আক্তার (৪৪) বলেন, একটা মাহিন্দ্র যোগে কিছু লোক এসে আমার পাশে থেকে ম্যাডামকে নিয়ে গেলে আমি তাৎক্ষণিক ভাবে কলেজে এসে আমার সহকর্মীদের জানাই। মোসা: তাহেরা আলী রুমার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুমকি উপজেলায় আমার মত নারীরা যদি হেনস্তার স্বীকার হই তবে অন্য মেয়েরা কিভাবে চলবে?
তাদের মেয়ে মেহেরুন্নেছা পরশমনি বলেন, আমরা কি তার জ্বালায় দুমকিতে থাকতে পারবো না? আমরা এখন ভয়ের মধ্য আছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাইফুল্লাহ্ জাহান মানিক জাগরণকে বলেন, আমাদের সন্তান দুটির মুখের দিকে তাকিয়ে আবারও রুমাকে নিয়ে মিলেমিশে বসবাস করতে চাই।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আ: সালাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে দুমকি থানায় একটি মামলা হয়েছে ।
উল্লেখ্য, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডিন (সিএসই) মো: আলী আজগর ভুইঁয়ার মেয়ে মোসা: তাহেরা আলী রুমা (৪২) এর সাথে ২০০৩ সালে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিয়ে হয়। তাদের ঘরে মোসা: মেহেরুন্নেসা পরশ মনি (১৭) ও আবু তালহা মো: জুবায়ের (১২) নামের দুটি সন্তান আছে। পরবর্তীতে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক সন্তানেরা মায়ের সাথে বসবাস করছে।
জাগরণ/আরকে